Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার রেশ না কাটতেই আবারো তলিয়ে গেছে নেত্রকোনার

| প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বিস্তীর্ণ ফসলি জমি
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা ঃ নেত্রকোনায় দুই দফা বন্যার রেশ না কাটতেই গত কদিন ধরে আবারও অব্যাহত প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার দূর্গাপুর, কলমাকান্দাসহ বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলী জমি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে ও খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, মে মাসের প্রথম দিকে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জেলার খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ, মদনের হাওরাঞ্চলসহ দূর্গাপুর, কলমাকান্দা উপজেলায় আকষ্মিক অকাল বন্যা দেখা দেয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙে দেখতে দেখতে কৃষকের চোখের সামনে হাওরাঞ্চলের কৃষকের সারা বছরের একমাত্র বোরো ফসল ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়। একমাত্র ফসল হারিয়ে কৃষকেরা নিঃস্ব হয়ে পড়ে। আগষ্টে দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। বন্যার কারণে কৃষকদের রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার থেকে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নতুন করে দূর্গাপুর কলমাকান্দাসহ বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। দূর্গাপুর উপজেলার দূর্গাপুর পৌরসভাসহ গাওঁকান্দিয়া, কুল্লাগড়া, বাকলজোড়া, চন্ডীগড় ও কাকৈরগড়া ইউনিয়ন এবং কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা, নাজিরপুর, রংছাতি, বরখাপন, পোগলা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ ফসলী জমিতে রোপা আমর ধানের চারা পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সকল এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে ঝুকিপূর্ন অবস্থানে রয়েছে। গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোতালেব ও কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মি: সুব্রত আরেং জানান, পর পর তিন দফা বন্যা হওয়ায় রোপা আমন ধানের চারা রক্ষা করা গেল না। আগামীতে কৃষকরা তাদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের ফসল হয়ত গোলায় আর তুলতে পারবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ