পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীকে চীন-ভারত সফরের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, একটি আগ্রাসী শক্তি আজকে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত করেছে। মিয়ানমার তার নাগরিকদেরকে বিতাড়িত করে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করছে। এই সঙ্কট সমাধানে দ্রুততার সঙ্গে কূটনৈতিক সমস্ত প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। মিয়ানমার সরকারকে অবশ্যই বাধ্য করতে হবে, তারা যেন রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ করে। তারা যেন তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয় এবং এখানে থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। গতকাল (রোববার) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনার হল রুমে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীন-ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সফরের পরামর্শ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দরকার হলে প্রধানমন্ত্রীকেই বিভিন্ন দেশগুলোকে যেতে হবে। আজকে ভারত ও চীনের কথা বলা হচ্ছে, তারা মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। তাদের কাছে যেতে হবে, তাদেরকে বোঝাতে হবে যে এটা আমাদের জন্য কী ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে আসছে। কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া গেলে সমস্যার সমাধান আসবে বলে আশাবাদী ফখরুল। সরকার রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা সমালোচনামুখর হওয়ার পর শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, সমালোচনা না করে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগিতা করুন।
১৯৭৮ সালের জিয়াউর রহমানের শাসনামলে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান সেই সময়ে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কূটনৈতিক কৌশলে চাপ সৃষ্টি করে বার্মা (মিয়ানমার) সরকারকে বাধ্য করেছিলেন সেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে দেশের মানুষের উদ্বেগ তুলে ধরে ফখরুল সরকারের বর্তমানের ‘নিশ্চুপ’ ভূমিকার সমালোচনা করেন। সরকার কিছুই করছে না। তারা উল্টো ভয় পাচ্ছে যে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে না কি জঙ্গিরা চলে আসছে, অস্ত্র আসছে। আমি বলব, মূল বিষয়টাতে আসুন। বার্মা সরকারকে বাধ্য করুন, যেন তারা হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে, নির্যাতন বন্ধ করে এবং পাঠিয়ে দেওয়া সমস্ত রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়। এই বিষয়টি নিয়ে বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার জবাবে ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গার ব্যাপারে সরকারের প্রতি আমরা বলেছি, তাতেই তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে, গায়ে জ্বালা ধরেছে। আমরা যখন বলি যে যেটা করা দরকার সেটা করছে না। কেন করছে না? তোমরা আসলে যে কাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, আমরা জানি না। তোমরা সঠিক সময়ে নেওনি বলেই আজকে এত মানুষ ঢুকে পড়েছে। একটি মাত্র কারণ তোমরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নও।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মতো আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে; যে সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনও নিরপেক্ষ হতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংকট সমাধানে সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেদিকে যেতে রাজি নন। আমরা নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচনে ভয় পাই না। কিন্তু আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভয় পায় বলেই তাদের ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করতে হয়। আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না।
মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সাবেক সাংসদ রওশন আরা ফরিদ, ঢাকা জেলার সাবিনা ইয়াসমীন, নারায়নগঞ্জের রহিমা শরীফ মায়া ও চট্টগ্রামের জেলী চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।