পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতো করে চলবে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র এখন তাদের (আওয়ামী লীগ) হয়ে গেছে। কোন গণতন্ত্র সেই মুজিববাদের গণতন্ত্র, বাকশালের গণতন্ত্র, একদলীয় শাসনব্যবস্থা গণতন্ত্র। এদেশে মানুষ তা হতে দেবে না।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আসাদের ৫৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অনেকে আশা করছেন আরো তীব্র গতিতে আন্দোলন চলবে। অবশ্যই হবে। আন্দোলনের একটা নির্দিষ্ট ধারা আছে, তার একটি নির্দিষ্ট বিজ্ঞান আছে, একটা নির্দিষ্ট কেমিস্ট্রি আছে। আমি বিশ্বাস করি, ইতোমধ্যে আমাদের গত কয়েক মাসের আন্দোলনে জনগণ জেগে উঠেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সব স্বপ্নগুলোকে ভেঙে দিয়ে, শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মানুষকে দমন করছে। এবং আমাদের সব অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। আজকে মানুষ সেই অধিকারগুলো পুনরুদ্ধার করার জন্য সংগ্রাম শুরু করেছে। আমরা দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আরও ঐক্যবদ্ধ হবো। আমাদের ঐকবদ্ধ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জনগণই আমাদের পথ বাতলে দেবে। আমি এটা বিশ্বাস করি জনগণই আমাদের পথ দেখাবে, কোন পথে গেলে এই দানবকে পরাজিত করতে পারবো।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বুদ্ধিজীবীরা কথা বলছেন না। আসাদের শার্ট তাদের কথা বলার সেই অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। ঠিক তখনও আমাদের তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী মধ্যবিত্ত পেশাজীবী মানুষ কথা বলতেন না। এখনও কিছু বুদ্ধিজীবী বলেন উন্নয়ন তো হচ্ছে।
সরকার আন্দোলন দমনে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। একটা সেলের মধ্যে একজন থাকতে পারে, সেই সেলে ৯ জন রেখেছে। ৭ দিন ওই সেল থেকে বের হতে দেয়নি। এরকম নির্মম নির্যাতন অত্যাচার চালিয়েছে কারাগারে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এরা কিছুতেই যাবে না, অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবে। আজকে এই সরকার সমস্ত স্বপ্নগুলোকে ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। দমনপীড়ন করছে এবং আমাদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে আমরা আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছি সংগ্রাম করছি। আজকে সমস্ত দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, আরও ঐক্যবদ্ধ হব।
আওয়ামী লীগ সরকার উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতো দুইটি বিষয়কে অন্তত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আজকে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো যারা আমরা একমত হয়েছি আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য নয় রাষ্ট্রের কাঠামো পরিবর্তন করতে চাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার আমাদের দুটি বিষয়কে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে- একটি হচ্ছে রাজনৈতিক বিষয়, যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা গঠন করতে চেয়েছিলাম উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। আরেকটি হচ্ছে সাম্যের ওপর ভিত্তি করে একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছিলাম সে জায়গাতে আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আজকে গরিবরা আরো গরিব হচ্ছে আর ধনীরা আরও বড়লোক হচ্ছে। আজকে আমরা দেখছি যে মানুষটি ছেড়া জুতা পড়ে ঘুরতো সে আজকে দামি দামি গাড়িতে চড়ছে। যার মাথা গোঁজা ঠাঁই ছিল না, আজ তারা বিল্ডিং করেছে। এখান থেকে আমাদের বের হতেই হবে। আরো বলেন, জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণমূলক, একটি সমৃদ্ধি রাষ্ট্র গঠন করার জন্য, মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আজকে আরও বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।
শহীদ আসাদ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্যাহর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, বিএনপি›র মিডিয়ার সেলের আহŸায়ক জহির উদ্দীন স্বপন, শহীদ আসাদের ছোট ভাই ড. নুরুজ্জামান হক প্রমুখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।