পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, চলমান আন্দোলনে গত কয়েকমাসে আমাদের ৬ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তাদের অপরাধ তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণসমাবেশ সফলের জন্য লিফলেট বিতরণকালে পুলিশ গুলি করে আমাদের ছাত্রদল নেতাকে হত্যা করেছে। আমি পুলিশকে বলবো- বেআইনি হত্যাকাণ্ড চালাবেন না প্রত্যেক অন্যায় কাজের জবাব দিতে হবে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে জেডআরএফ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান আমাদের বাতিঘর। যিনি দূরে থেকেও আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি অসাধ্যকে সাধন করতে চলেছেন। তার নেতৃত্বে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। তার আহ্বানে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আজকে চরম বৈরি পরিবেশে যাচ্ছি। এখানে মানুষ কথা বলতে পারেনা। ভোট দিতে পারেনা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা অধিকার হারা। এখনো আমাদের অধিকার আদায়ে লড়াই করতে হচ্ছে। জীবন দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে সরকার ফ্যাসিবাদী কায়েম করেছে ১৫ বছর ধরে। এরমধ্যে আমাদের আশা দেখাচ্ছেন তারেক রহমান। তার সাংগঠনিক দক্ষতা আসাধারণ। তিনি মানুষের মাঝে জায়গা করে নিয়েছেন। আজকে আমাদের একটা পাহাড় পার হতে হচ্ছে। তারেক রহমান দলের মধ্যে যৌথ নেতৃত্ব তৈরি করেছেন। নতুন প্রজন্মের জন্য নতুনভাবে রাষ্ট্র নির্মাণের ধারণা দিয়েছেন তারেক রহমান। আজকে তরুণ প্রজন্মের অনেকে রাজনীতিতে আগ্রহ দেখায় না। তাদেরকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তারেক রহমান। গণসমাবেশে মানুষ অংশ নিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। পিনাকী ও মুশফিকুল ফজল আনসারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। আসলে সরকার আস্থ্ হারিয়ে ফেলেছে। তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন পুরোপুরি গণবিচ্ছিন্ন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, তারেক রহমান বীরের বেশে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবেন। তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার লোকজনের লুটপাট ও চুরি ঠেকাতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে পতন ঘটাতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই। এই আন্দোলনে আমাদের সঠিক নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। সেজন্য সারাদেশে আমাদের সমাবেশে লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়ছে। আমাদেরকে আরো সংঘবদ্ধ হয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
নোমান বলেন, আমরা বর্তমানে সরকার উৎখাতের সংগ্রামে আছি। তারেক রহমানের পরিচয় তার কর্মকাণ্ডেই মিলবে। তিনি যে প্রকৃত রাষ্ট্রনায়ক সেটা তার কর্মকান্ডেই মিলবে। আমাদেরকে বাঁচতে হলে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেক রহমানের জন্মদিন পালন করি তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে। তিনি দেশের ক্রান্তিকালে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যেমনটি তার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের হাল ধরেছিলেন। আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে তারেক রহমানের জন্মদিন পালন করিনা। বিশেষ করে ২০১৮ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার পর থেকে আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে তার জন্মদিন পালন করিনা। তিনি বর্তমানে ক্রান্তিকালে তার জন্মদিন উপলক্ষে কোনো ধরনের কেক কাটা বা আনন্দময় অনুষ্ঠান করতে বারণ করেছেন। এটিই হচ্ছে একজন রাষ্ট্র নায়কের দূরদর্শিতা। কারণ তিনি দেশের মানুষের মনের কষ্ট বোঝেন। নেতাকর্মীদের কষ্ট বোঝেন।
রিজভী বলেন, আমাদের অনেক সাথী হারিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে আমরা শোকাহত পরিবেশে তারেক রহমানের জন্মদিন পালন করছি। আমরা আশা করছি তারেক রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে আগামীদিনে পরিবর্তন সাধন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ড. আফম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রকৌশলী মাহবুব আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম, ঢাবি সাদা দলের অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ।
প্রেসক্লাবে দোয়া: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাংবাদিকবৃন্দ। গতকাল এই দোয়া মাহফিলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক এরফানুল হক নাহিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ। আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দীন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের(ডিইউজে) সহ-সভাপতি বাছির জামাল, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য রফিক লিটন, মো. আব্দুল হালিম, সাবেক নির্বাহী সদস্য শাখাওয়াত হোসেন মুকুল, সাবেক নির্বাহী সদস্য ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব এইচ এম আল আমিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ডিইউজে সিনিয়র সদস্য তারিক আল বান্না, শাহাবুদ্দিন চৌধুরী, কামরুল হাসান দর্পন, তালুকদার রুমি, ডিইউজে সদস্য মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, এইচআর শফিক, রাসেল আহমেদ প্রমুখ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।