বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধ করা না হলে আরাকান অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আরাকান রাজ্যে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের নিকট প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল, ১৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও, ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ও ওআইসি মহাসচিব বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী একটি মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তথা সর্বস্তরের মুসলমানদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে মিয়ানমার সরকারের গণহত্যা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, রোহিঙ্গাদের সেদেশে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কূটনৈতিক পদক্ষেপ জোরদারসহ জাতিসংঘ, ওআইসি, বিশ্বসংস্থাসমূহকে আরাকানের মুসলমানদের মানবিক অধিকার রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার সরকার ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত ফ্যাসিবাদী জুলুম ও গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। গণহত্যার সংবাদ বিশ্বমিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলেও মুসলিমদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ সরকার প্রধান ক্ষমতার মোহ ও রাজনৈতিক স্বার্থে মিয়ানমার সরকারের একতরফা হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরোচিত অত্যাচারের ব্যাপারে বরাবরই মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্রিটিশরা ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারকে স্বাধীনতা দেয়ার সময় স্বায়ত্বশাসিত আরাকানকে মিয়ানমারের সাথে জুড়ে দেয়, যা ছিল মূলত ষড়যন্ত্র। আসল কথা হলো, মুসলিম সংখ্যালঘু জনগণের বসবাসের ন্যায্যতা ও নাগরিকত্বকে অস্বীকার করে কার্যত মানবতাবিরোধী নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে বর্ণবাদী মিয়ানমার। সংবাদ সম্মেলনে দেশের মসজিদ মাদরাসায় কুনুতে নাজেলার আমল জারিসহ হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ, ওলামায়ে কেরাম ও জনসাধারণের প্রতি নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সাহায্যে এগিয়ে আসার আহŸান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা লোকমান হাকীম, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী প্রমুূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।