Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্মস্থলমুখী যাত্রীভিড়ে ঠাঁসা বরিশাল বন্দর

| প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নাছিম উল আলম : দক্ষিনাঞ্চল থেকে ঈদ পরবর্তি কর্মস্থলমুখি জন স্রোত গতকালও অব্যাহত ছিল। সড়ক ও নৌপথে মানুষের শ্্েরাত যেন থামছেই না। তবে এবার রাজধানীর সাথে বরিশাল ও খুলনা বিভাগ সহ ফরিদপুর অঞ্চলের সংক্ষিপ্ত সড়ক পথের মাওয়া ফেরি পারপারে স্মরনকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের ফলে নৌপথে ভীড় যথেষ্ঠ বেশী। বরিশাল বন্দর থেকে নিয়মিত নৌযানের তিনগুন বিশেষ নৌযানেও ভীড় সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার বরিশাল বন্দর থেকে ২২টি নৌযানে প্রায় একলাখ যাত্রী ঢাকা ও চাঁদপুরে রওয়ানা হবার পরেও আরো অন্তত দুহাজার যাত্রী কোন নৌযানে উঠতেই পারেননি। একই চিত্র দক্ষিনাঞ্চলের অন্যসব নদী বন্দর সহ লঞ্চঘাটগুলোতেও। গতকালও বরিশাল বন্দর সহ সমগ্র দক্ষিনাঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলের কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের শ্রোত অব্যাহত ছিল। গতকাল বরিশাল বন্দর থেকে অন্তত ২০টি নৌযান ঢাকা ও চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। তবে বিআইডবøউটিসি গত শুক্রবারই হাত গুটিয়েছে। গতকাল সংস্থাটির কোন বিশেষ নৌযান দক্ষিনাঞ্চল থেকে ছেড়ে যায়নি।
এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে বরিশাল বন্দর থেকে ‘এমভি সুন্দরবন-৮’ নামের একটি নৌযান পেছন দিকে বের হবার সময় ‘এমভি তাসরিফ-৩’ এর ওপর আছড়ে পরে। এতে তাসরিফ-৩’এর সামনের ডান পাশের খোলের লোড লাইনের ওপরের অংশের প্রায় ৩ ফুট প্লেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থাতেই নৌযানটি বন্দর ছেড়ে প্রায় ৫কিলোমিটার এলাকা চালিয়ে যাবার পরে বিআইডবিøইটএ তাসরিফ’কে চরমোনাইর কাছে থামিয়ে তা মেরামত করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা পাঠায়। অপরদিকে ‘এমভি কীর্তনখোলা-২’ নৌযানটির সাথে সংঘর্ষে বরিশাল-ঢাকা নৌপথের ক্যাটামেরন ‘এমভি এ্যডভেঞ্চার-২’ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও অন্তত ১০জন যাত্রী কমবেশী আহত হয়েছে। এঘটনায় আঘাতকারি নৌযানটিকে ঢাকার সদরঘাটে আটকে দিয়ে চলাচল স্থাগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এসব দূর্ঘটনার পরেও দক্ষিনাঞ্চল থেকে রাজধানীমুখি জনশ্রোত থেমে নেই। কয়েকদিনের মত গতকালও বরিশাল থেকে ১৭টি বেসরকারী নৌযান ছাড়াও দুটি ক্যাটামেরন ও বিআইডবিøউটিসি’র একটি নিয়মিত নৌযান ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এছাড়া আরো অন্তত ৩টি নৌযান চাঁদপুর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে যাত্রী বোঝাই করে। নিয়মিত ৬টি নৌযানের স্থলে এত বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করলেও জনশ্রোতের কোন কমতি নেই।
প্রতিটি নৌযানই ধারন ক্ষমতার ২-৩ গুন যাত্রী নিয়ে বন্দর ত্যাগ করছে। এবার ঈদ পরবর্তি মানুষের চাপে প্রতিটি নৌযান ছাদ পর্যন্ত বোঝাই করে বরিশাল বন্দর থেকে রওয়ানা হতে দেখা গেছে। যা অতীতের ঈদ পরবর্তি সময়ে খুব একটা লক্ষনীয় ছিল না।তবে কর্তৃপক্ষের মতে, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এড়িয়ে নৌযানগুলো যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌছে দিতে পারে। এ লক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ আগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলেও জানান দায়িত্বশীল মহল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ