Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নারীর প্রতি সহিংসতা বিচারহীনতার সংস্কৃতিই দায়ী

‘পৌরুষ: নতুন ভাবনা-গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময়ে বক্তারা

| প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতাসহ বিভিন্ন ধরণের নির্যাতনের ঘটনার জন্য মূলত বিচারহীনতার সংস্কৃতিই দায়ী। এরপর দায়ী করা যাবে ইন্টারনেটের প্রভাব, নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা, সামাজিক মূল্যবোধের অভাব, এসব ঘটনার প্রতিরোধে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের এগিয়ে না আসা ইত্যাদি কারণকে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘পৌরুষ: নতুন ভাবনা-গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ মতামত তুলে ধরেন। ব্র্যাক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধান ইশতিয়াক রেজা, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, ডিবিসি টিভি’র সম্পাদক নবনীতা চৌধুরী, অনলাইন পোর্টাল উইমেন চ্যাপ্টারের সম্পাদক সুপ্রীতি ধর প্রমুখ সাংবাদিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের স্ট্রাটেজি, কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন পরিচালক আসিফ সালেহ।
আসিফ সালেহ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রূপার উপর যৌন নির্যাতন ও তাকে হত্যার ঘটনা আমাদের সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। এতে বোঝা যায় নারীর প্রতি সহিংসতা কতটা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এ ধরনের সহিংসতারোধে পুরুষদের ভূমিকা মুখ্য। এই প্রেক্ষাপটে নারী নির্যাতন রোধে কিভাবে একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা যায় এবং এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি তা তুলে ধরতেই এ সভার আয়োজন।
ইশতিয়াক রেজা বলেন, গণমাধ্যমেও দেখা যায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পোশাক বা স্বভাব এমনভাবে বিশ্লেষণ করা হয়, যেন ধর্ষকের পক্ষেই ওকালতি করা হচ্ছে। এই ঘরানার সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নবনীতা চৌধুরী বলেন, এই ক্ষেত্রে আমাদের মূল সমস্যা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিগত। এজন্য ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পুরুষের ভাবনা পাল্টানোর পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়নে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
ব্র্যাকের পরিচালক আন্না মিনজ ২০১৬ ও ২০১৭ সালের তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুেেল ধরে বলেন, ২০১৬ সালে যেখানে আমাদের কাছে গড়ে প্রতি মাসে প্রতি জেলা থেকে ১০-১২ টি যৌন হয়রানিসহ ও অন্যান্য নারী নির্যাতনের তথ্য আসত, এখন সেখানে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত গড়ে ১৬-১৭টি তথ্য আসছে। এটা সত্যিই উদ্বেগজনক ও ভয়াবহ।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইরেশ যাকের বলেন, নারী নির্যাতন রোধে আমাদের স্কুল পর্যায় থেকে কাজ শুরু করতে হবে। নারীদের উত্থান হলে পুরুষদেও অনেকের মনেই ভীতিবোধ কাজ করে। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের ওয়ার্কিং গ্রপ তৈরি করে কাজ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ