মেঘনা নদীতে র‌্যাব কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে ১টি শুটারগান, ২টি কাটা রাইফেল এবং ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চরকিং ইউনিয়নের মেঘনা নদীর বগুলারখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইয়াবা সম্রাট আব্দুল হালিম আজাদ প্রকাশ পিচ্ছি আজাদের দেয়া তথ্য অনুসারে ডুবুরীদল নদী থেকে এগুলো উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, বুধবার হাতিয়ার এমপি আয়েশা ফেরদৌসের বাসভবনে গুলী ও বোমা হামলা চালায় চরঈশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা । গত বৃহস্পতিবার আবদুল হালিম আজাদ অস্ত্রশস্ত্রসহ ও তার দলবল নিয়ে রাচচরন নদীঘাট দিয়ে ট্রলারযোগে পালিয়ে যাবার সময় পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান চালিয়ে আবদুল হালিম আজাদ, নূর নবী মাস্টারের ছেলে আশরাফুল হক, রেজাউল হকের ছেলে নাছির উদ্দিন, কানতিল নন্দীর ছেলে রুপক নন্দী, জসিম উদ্দিনের ছেলে তুষার ও বোটের দু’জন মাঝিকে আটক করে। এসময় সময় সন্ত্রাসীরা নদীতে অস্ত্রশস্ত্র ফেলে দেয় । পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে এসব অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার রাতে কোস্টগার্ড আটককৃতদের হাতিয়া থানায় সোপর্দ করে । এব্যাপারে র‌্যাব বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে ।
র‌্যাব-১১, বরিশাল ক্যাম্পের মেজর সোহেল রানা প্রিন্স অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন । কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন কমান্ডার লে. বোরহান উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে বগুলারখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার এমপি আয়েশা ফেরদাউস তাঁর নিজ বাসায় একটি হত্যা মামলার প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় চরঈশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৯টি টিয়ার সেল, ১০১ রাউন্ড শটগানের গুলি ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চরঈশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদ প্রকাশ পিচ্ছি আজাদকে প্রধান আসামী ও ২০জনকে এজাহারভূক্ত আসামী করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২০০/২৫০জনকে আসামী করে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। হাতিয়া থানার মামলা নং-৩।