Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৬৫ কিলোমিটার যানজট : যাত্রীদের ভোগান্তি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১:১৯ পিএম

ঈদের ছুটি শেষে মানুষ ঢাকায় আসছে । শনিবার সপ্তাহের শেষ ছুটির দিনে ঢাকামুখি মানুষের চাপ বেড়েছে। শুক্রবার রাত থেকে ঢাকামুখি গাড়ির ভিড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে হাজার হাজার মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুর উভয় প্রান্তে থেমে থেমে চলছে গাড়ি। মূলত টোল প্লাজার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-গাজীপুর ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও যানজট লেগে আছে।
জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করাতিপাড়া থেকে চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ যানজটে আটকে আছে শত শত যানবাহন। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটি গত সপ্তাহে শেষ হলেও সরকারি কর্মকর্তারা রোববার থেকে এবং গার্মেন্টস কর্মীরা শনিবার কাজে যোগদান করার কারণে শুক্রবার বিকাল থেকে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হয় লোকজন। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রংপুর থেকে আসা বাসযাত্রী সুরুজ আলী বলেন, প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় আটকা পড়ে আছি। গরমে বাসে বসেও থাকা যাচ্ছে না। রাস্তায় নেমে হাঁটাহাঁটি করছি। ঢাকামুখি রোজিনা পরিবহনের চালক সোহরাব জানান, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টায় করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় এসে আটকে আছি। তিনি জানান, বাসের অনেক যাত্রীর আজ শনিবার সকালে অফিস করার কথা। কিন্তু যানজটের যে অবস্থা তাতে ঢাকা পৌঁছতে পৌঁছতে বিকাল হয়ে যাবে।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের দিকে গাড়ির চাকা কিছুটা ঘুরলেও ঢাকার দিকে বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত যানজটে আটকে পরা গাড়িগুলো একেবারে নড়ছেই না। এতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেশি দুর্ভোগে পরেছেন নারী ও শিশুরা। প্রচন্ড গরমের কারণে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে হেঁটে, দাঁড়িয়ে এবং মাটিতে কাপড় বিছিয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হঠাৎ কিছু সময় বৃষ্টি হয়। এতে বাসের ছাদ ও ট্রাকে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
ভোরে ঢাকার গাবতলি থেকে যাওয়া একজন যাত্রী জানান, গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় সকালে যানজটে আটকা পড়েন। চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের নয়াপাড়া পর্যন্ত যেতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সময় লেগেছে। ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামগামী এসএন পরিবহনের বাসচালক কার্তিক কাজল জানান, রাত আড়াইটা থেকে তিনি মির্জাপুরের সীমানাতেই রয়েছেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলছে। এজন্য প্রচুর ধুলার সৃষ্টি হয়েছে। ধুলায় তিনিসহ অধিকাংশ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুর উভয় প্রান্তে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে। হাইওয়ে পুলিশের দাবি, মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় টোল দেয়ার সময় গাড়িগুলো কয়েক মিনিট থামার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা নামক স্থানে সকাল থেকে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে পুলিশের দাবি যানজট হলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ