Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কর্ণফুলী নদীর ভাঙনের কবলে রাঙ্গুনিয়ার আড়াই লাখ মানুষ

| প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : রাঙ্গুনিয়ার কর্ণফুলী নদীর পাড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ৮টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ ভাঙনের কবলে পড়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ইতিমধ্যে শতশত বাড়িঘর, মসজিদ, মন্দির সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসকারী স্থাপনা নদী গ্রাস করেছে। ৬০ একর তলিয়ে গেছে কৃষকের মূল্যবান জমি। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারের ২শ কোটি টাকার ভাঙ্গন রোধ সিসিবøক প্রকল্প। কোদালা ধোপাঘাট গ্রামের ৫৫ বছরের কৃষক মো. নাজিম উদ্দিন জানান, এক একর জমি কেড়ে নিয়েছে রাঙ্গুসে নদী। আর মাত্র দুই শতক জমি রয়েছে। তাও যে কোন মুহুর্তে বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙনরোধ করা গেলে একাধিক কৃষকের জমি রক্ষা হবে। কৃষক হামিদুর রহমান জানান, চলতি মৗসুমে নদীভাঙ্গন তীব্র দেখা দিয়েছে। যদি আরসিসি বøক দিয়ে ভাঙন ঠেকানো না যায় কোদালা ধোপাঘাট গ্রাম সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাবে। াঙ্গন ঠেকানো নাইতিমধ্যে তার ১ একর জমি নদীর পেটে চলে গেছে। কোদালা ইউনিয়নের সাতঘর পাড়া, শীল পাড়া, তালুকদার বাড়ি, সেন বাড়ি, বল বাড়ি, ব্রাক্ষণ বাড়ি, মুসলিম বাড়ি ও পূর্ব পাড়ার সহ প্রায় এক হাজার পরিবার ভাঙ্গনের মারাতœক হুমকির মুখে পড়েছে।
সেন পাড়া গ্রামের অশোক কুমার শীল জানান, সেন পাড়ার একমাত্র শশ্মানহোলা ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ৮/১০ ফুট মাটি সরে গেলে নদীর তলদেশে চিরতরে হারিয়ে যাবে শশ্মন ও সেন পাড়া পুকুর। পুকুর নদীর সাথে মিছে গেলে মারাতœক হুমকির মুখে পড়বে দক্ষিণ ধোপাঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোদালা পুলিশ ফাঁড়ি ও সেনপাড়া গ্রাম। মোহাম্মদ বদিউল আলম মাষ্টার জানান, বর্ষার পর নদীর ভাঙ্গন বেড়েছে। ভাঙ্গনরোধ করা না গেলে কর্ণফুলী নদীর ৮টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াইলক্ষ মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

সাতক্ষীরায় জামায়াত নেতাসহ আটক ৫৭
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল ওহাব বিশ্বাসসহ ৫৭ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিবিন্ন স্থানে সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ আভিযানে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা ২৬ জন, কলারোয়া থানা ৪ জন, তালা থানায় ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৩ জন, শ্যামনগর থানা ২ জন, আশাশুনি থানা ৮ জন, দেবহাটা থানা ৫ জন ও পাটকেলঘাটা থানা এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ