Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ফেনীতে হুমকির মুখে মুচাপুর ক্লোজার

| প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সোনাগাজী (ফেনী) সংবাদদাতা : পুরাতন ডাকাতিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে ছোট ফেনী নদীর উপর, প্রায় ৩শ ‘কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মুচাপুর ক্লোজারটি হুমকির মুখে। 

জানা যায়, ফেনী জেলার, সোনাগাজী, দাগুনভুঁইয়া, ফেনী সদরের আংশিক। নোয়াখালী জেলার, কোম্পানিগঞ্জ, সেনবাগ, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম, লাঙ্গল কোর্ট, সহ ৯ টি উপজেলায় বঙ্গোবসাগরের জোয়ারের লোনাপানি থেকে রক্ষা, বিস্তৃন্য উপকূলীয় অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাষন, নদী ভাঙন থেকে রক্ষা, এবং ৯ টি উপজেলায় অধিকফসল উৎপাদন, নদী শাষনের মাধ্যমে বঙ্গোবসাগর থেকে নতুন চর সৃষ্টির লক্ষ্যে গত চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছোট ফেনী নদীর মোহনায় মুচাপুর নামক স্থানে সরজমিনে এসে ‹› মুচাপর ক্লোজারের ্রশুভ উদ্বোধন করেন।
দরপত্রে শর্তানুসারে ২০০৮ সালে ক্লোজারের কাজ সমাপ্ত করার শর্ত থাকলেও অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, ব্যাপক অনিয়ম দুনীতি ও লুটপাঠের মাধ্যেমে ২০১৪ সালে ক্লোজার ও নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার সরজমিনে জানা যায়, ক্লোজারের পিছনে মেঘনা নদী থেকে ধেয়ে আসা পুরাতন ডাকাতিয়া নদীর অব্যাহত ভাংগনে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মুচাপুর ইউনিয়নের মুচাপুর গ্রামের প্রায় ৫০০ শতাধিক বাড়ি ঘর, সহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে পুরাতন ডাকাতিয়া নদী থেকে মুচাপর ক্লোজারটি এক কিলোমিটারের কম দুরত্বে অবস্থান করছে। এলাকাবাসি জানান, পুরাতন ডাকাতিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙন রোধ করা না হলে দুই বা তিন বছরের মধ্যে ক্লোজারটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুচাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে নোয়াখালী খালসহ ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন রোধে ৩২৪ কোটি টাকার বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। আমরা আশা করছি আসছে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্বাবধানে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে। এ দিকে ফেনী ০৩ আসনের সাংসদ হাজী রহিম উল্লাহ জানান, এ অঞ্চলের জন্য মুচাপুর ক্লোজারটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন যে কোন মুল্যে ক্লোজারটি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন আমি সেতু মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি, ছোট ফেনী নদী ও ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবেন বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ