Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুলবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীধর্ষণ ঘটনায় ২ দিন পর থানায় মামলা

| প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ফুলবাড়িয়া ( ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের নিশিন্দারপাড় নানার বাড়ি বেড়াতে এসে ৭ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বিদ্যানন্দ ইয়াদ আলী মার্কেটে একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিয়ে রাতভর আপোষ শালিশ করেছে বলে জানিয়েছেন কালাদহ ইউপি সদস্য উজ্জল মিয়া। ধর্ষকের পিতা নানা ভাবে প্রভাব খাটিয়ে ২ দিন থানায় আসতে দেয়নি ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর হতদরিদ্র পিতা আব্দুল খালেককে । অতপর বৃহস্পতিবার ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কবিরুল ইসলাম স্কুল ছাত্রীর পিতাকে থানায় নিয়ে এসে রাতেই ধর্ষণ মামলা এফআই আর করেন।
অভিযোগ উঠেছে ধর্ষকের প্রভাবশালী পিতা সাইফুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে ঘটনা ধামাচাপায় সংশ্লিষ্ঠ ডাক্তার দ্বারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ভর্তি রেজিষ্টারে ধর্ষিতা অসুস্থ স্কুল ছাত্রীকে ভর্তিকালে মারামারির ঘটনা লিখিয়েছে। বুধবার রাত ১২ টার দিকে ঘটনার বেগতিক দেখে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ হারুন আল মাকসুদ ভর্তিকৃত অসুস্থ স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণ সংক্রান্ত ঘটনা উল্লেখ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জনিয়েছেন স্কুল ছাত্রীর মামা ভেনচালক সোহেল মিয়া।
মামলার তদন্তকারী অফিসার শামীম আহমেদ মামুন জানান, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই শুক্রবার ঘটনাস্থলে এসেছি, আসামীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। গতকাল শুক্রবার মোবাইল ফোনে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ নজরুল ইসলামকে ঘটনার দিন ভোর রাতে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে মারামারির ঘটনায় ভর্তি হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিশিন্দারপাড় গ্রামে নানীর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ধর্ষনের শিকার হয়। ঐ দিন ভোর রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে তার বাবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পিতা কালাদহ ইউনিয়নের হুরবাড়ি গ্রামের আব্দুল খালেক জানায়, একই গ্রামের প্রভাবশালী সাইফুল ইসলামের কলেজে পড়–য়া পুত্র রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বেশ কিছুদিন যাবত হুরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীতে পড়–য়া আমার কন্যাকে প্রেম নিবেদনের জন্য উত্ত্যক্ত করে আসছে।
মঙ্গলবার সকালে পাশ্ববর্তী নিশিন্দার পাড় নানা বাড়িতে বেড়াতে গেলে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা কলেজ ছাত্র রাশেদ রাতে কৌশলে স্কুল ছাত্রীকে নানা বাড়ি থেকে বের করে পাশ্ববর্তী সুপারী বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। কালাদহ ইউপি সদস্য উজ্জল মিয়া জানায়, ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতাকে তার বাবা আব্দুল খালেক সাথে নিয়ে আসলে স্কুল ছাত্রীকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দেই এবং ফুলবাড়িয়া থানায় বিষয়টি অবহিত করি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ