Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

তানোরে হজ নিয়ে প্রতারণা

| প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


তানোর ‘রাজশাহী’ উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরের পাচন্দর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজি) এবং হুদারিয়া হজ এজেন্সির তানোর শাখা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আবারো হজ্ব নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ভৃক্তভোগীদের অভিযোগ, গত বছর মিজান কাজির প্রতারণার কারণে টাকা জমা দিয়েও ৩০ জন ব্যক্তি হজ্ব পালন করতে পারেনি, এবারো ১৮ জন ব্যক্তি টাকা জমা দিয়েও হজ্বে যেতে পারেনি। অথচ এসব ব্যক্তিদের একটি টাকাও এখানো ফেরত দেয়া হয়নি। এদিকে হজ্বে যেতে না পারলেও এজেন্সি প্রতিনিধি মিজান কাজির কথা মতো এদের ঢাকায় যাতাযাত করতে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। কেউ কেউ আবার হজ্বে যেতে বিদায় নেকার জন্য গরু মেরে আতœীয়-স্বজনদের ভূরিভোজ করে তাদের কাছে থেকে বিদায় নিয়েছে, কিšত্ত হজ্বে যেতে না পেরে তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের বেসরকারি এক শ্রেণীর হজ এজেন্সি হজের প্রাক নিবন্ধন নিয়ে প্রতারণার ফাদ পেতে বসেছে। এসব এজেন্সির অন্যতম হুদারিয়া হজ এজেন্সির প্রতিনিধি ও কাজি মিজানুর রহমান। হজের প্রাক নিবন্ধনের সিরিয়াল পিছনে পড়বে জেনেও হজ গমন ইচ্ছুকদের কাছে অর্থ নিয়ে প্রতারণা করেছে হুদারিয়া এজেন্সির তানোর শাখা প্রতিনিধি কাজী মিজান। তার খপ্পড়ে পড়ে গত বছর ৩০ জন এ বছর ১৮ হজ গমনে ইচ্চুক ব্যক্তি হজে যেতে পারছেন না। সূত্র জানায়, রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায় এই চক্রটির বিস্তার রয়েছে। এদিকে এজেন্সি কর্তৃপক্ষের দাবি এটি কোনো প্রতারণা নয়,নিজেদের ভূলে হজ গমনে ইচ্ছুক কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে একটি বিশত্ত¡ সূত্র জানায় কাজী মিজান গত বছর ৩০ বক্তি ও এবছর ১৮ ব্যক্তির কাছে থেকে মাথা পিছু ৫০ হাজার টাকা নিলেও তিনি তা এজেন্সির কাছে জমা দেননি যে কারণে এজেন্সি তাদের রেজিস্ট্রেশন করেনি। স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হজ্বে যাবার জন্য মিজান কাজির হাতে টাকা দিয়ে সকল প্র¯ত্ততি সম্পন্ন করেছেন। কিšত্ত শেষ সময়ে আমাদের জানানো হচ্ছে এবার আমাদের হজ্বে যাওয়া যাবে না। আব্দুর রজ্জাক বলেন, মিজান কাজির হাতে টাকা দিয়েও হজ্বে যেতে পারিনি এখন আগামি হজ্বের আগে যদি মারা যায় তাহলে তার দায় নিবে কে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা পেছে, চলতি বছরে পবিত্র হজ পালনের জন্য হুদারিয়া এজেন্সির তানোর উপজেলা শাখা অফিসে বছরের শুরুতেই ১৮ জনের কাছে থেকে মাথা পিছু ৫০ হাজার টাকা করে জমা নেয়া হয়। হুদারিয়া হজ এজেন্সির তানোর শাখায় চলতি বছরে তানোর, গোদাগাড়ী ও নাচোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৮ জন হজ গমনে ইচ্ছুকদের প্রত্যেকের সঙ্গে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা চুক্তিবদ্ধ হয়। এদিকে টাকা দেয়ার পর এজেন্সির আশ্বাষে তারা হজ পালনের জন্য সকল প্র¯ত্ততি সম্পন্ন করেন। অথচ শেষ মুহুর্তে এসে তারা জানতে পারে হজে যাওয়ার জন্য হাজীদের রেজিস্ট্রেশন তালিকায় তাদের নাম নাই। ফলে চলতি বছর এই ১৮ জন ব্যক্তির হজে যাওয়া হচ্ছে না। আর এ খবর সাধারণের মধ্যে জানাজানি হলে ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর মধ্যে চরম অসন্তোষ ও হতাশার ছায়া নেমে আসে। ভুক্তভোগীরা তাদের এই অবস্থার জন্য এজেন্সির তানোর শাখা প্রতিনিধি ও কাজী মিজানুর রহমানকে দায়ী করে তাকে গ্রেফতার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এব্যাপারে হুদারিয়া হজ এজেন্সি তানোর শাখার প্রতিনিধি ও কাজী মিজানুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা কোনো প্রতারণা নয়, তাদের রেজিস্ট্রেশন করা হলেও সিরিয়ালে পিছনে পড়ায় তারা এবার হজ্বে যেতে পারছে না আগামি বছর তাদের হজ্বে পাঠানো হবে। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ‘ওসি’ রেজাউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তারা কোনো অভিযোগ পাননি। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে এজেন্সি ও প্রতিনিধির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ