বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাছিম উল আলম : দিনরাত ড্রেজিং করে মাওয়া সেক্টরে পদ্মায় নাব্যতা কিছুটা পুনরুদ্ধারের ফলে গতকাল দুপুর থেকে শিমুলিয়াÑকাঁঠালবাড়ী রুটে কে-টাইপের পাশাপাাশি ডাম্ব ফেরি চলাচল শুরু করায় রাজধানী সহ দেশের পূর্বাংশের সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা কিছুটা উন্নীত হয়ছে। রবিবার সন্ধার মধ্যে রাজধানীর সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমের সংক্ষিপ্ত এ সড়ক পথের ফেরি সেক্টরে রো-রো ফেরি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা সম্বভ হবে বলে বিআইডবিøউটিএ’র ড্রেজিং ইউনিটের উর্ধ্বতন মহল জানিয়েছেন। বিআইডবিøউটিসি’ও সেভাবে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছে। মাওয়া সেক্টরের ৪টি রো-রো ফেরির মধ্যে ১টি পাটুরিয়াতে নিয়ে যাওয়া হলেও অপর ৩টি যানবাহন পারপারে প্রস্তুত রয়েছে বলে জনিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে পাটুরিয়ায় প্রেরিত রো-রো ফেরিটিও ফিরিয়ে আনা হতে পারে। তবে গতকাল সকাল ৬টার পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিঅইডবিøউটিসি’র সব কটি ফেরি সেক্টরে প্রায় সাড়ে ৮হাজার যানবাহন পারপরের পরেও অপেক্ষমান ছিল আরো প্রায় দেড় হাজার।
তবে দেশের ফেরি সেক্টরে গতকাল দুপুর পর্যন্ত যথেষ্ঠ বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ অব্যাহত ছিল। ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখি জনস্রোতের চাপ সামাল দেয়া দুরুহ হয়ে পড়েছে। মূলত গত কয়েকদিন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাওয়া ফেরি সেক্টরে অচলবস্থার কারণে প্রধান ফেরি সেক্টর পাটুরিয়াতে যানবাহনের লম্বা লাইন যেন কমছে না। পাশাপাশি চাঁদপুরÑশরিয়তপুর, ভোলাÑল²ীপুর ও ভোলাÑবরিশালের মধ্যবর্তী ভেরুরিয়াÑলাহারহাট রুটগুলোতেও পারাপারকৃত যানবাহনের প্রায় সমন অপেক্ষমান থাকছে। তবে গতকাল দুপুর থেকে মাওয়া সেক্টরে কে-টাইপ-এর পাশাপাশি ডাম্ব ফেরি চলাচল শুরু করায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ এ সেক্টরে ছোট, মাঝারী, কে-টাইপ ও ডাম্ব ফেরি সহ মোট ১৫টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছিল। তবে পাটুরিয়া সেক্টরে ১টি রো-রো সহ মোট ৫টি ফেরি বিকল থাকায় পরিস্থিতির কাঙ্খিত উন্নতি হচ্ছে না। ঐ সেক্টরে ২টি কে-টাইপ ও ১টি ইউটিলিটি এবং একটি মিডিয়াম ফেরিও মেরামতে ছিল গতকাল বি দেশের বড় ও মাধ্যমস্তরের সবকটি ফেরি সেক্টরে প্রায় সাড়ে ৮হাজার যানবাহন পারপরের পরেও অপেক্ষমান ছিল আরো প্রায় দেড় হাজার। এসময়কালে পাটুরিয়া সেক্টরে প্রায় ৬ হাজার ৪শ’ যানবাহন পারপারের পরেও ৮ শতাধিক পারপারের অপেক্ষায় ছিল। যার বেশীরভাগই ছিল দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকা ও পাশ্ববর্তী এলাকামুখি। একই সময়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাওয়া সেক্টরে প্রায় দেড় হাজার যানবাহন পারপারের পরেও অপেক্ষমান ছিল আরো ৩ শতাধিক।
অপরদিকে চাঁদপুরÑশরিয়তপুর সেক্টরে ২টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে ২২০টির মত যানবাহন পারপরের পরেও অপেক্ষমান ছিল আড়াইশরও বেশী যানবাহন। চট্টগ্রামÑবরিশালÑমোংলা/খুলনা মহাসড়কের ভোলাÑল²ীপুর সেক্টরে ৩টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে গতকাল সকালের পূর্ববর্তী ২৪ঘন্টায় প্রায় দেড়শ’ যানবাহন পারপারের পরে আরো প্রায় ১শ’ অপেক্ষমান ছিল। ঐ একই মহাসড়কের বরিশাল ও ভোলার মধ্যবর্তী ভেদুরিয়াÑলাহারহাট রুটে গতকাল সকালের পূর্ববর্তী ২৪ঘণ্টায় ৩টি ইউটিলিটি টাইপ ফেরির সাহায্যে প্রায় আড়াইশ’ যানবাহন পারাপারের পরেও অপেক্ষমান ছিল আরো প্রায় ২শ’।
মাওয়া সেক্টরে রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ রো-রো ফেরি চালাচল শুরু করলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানী এবং সন্নিহিত এলাকা সহ পূর্বাংশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় যথেষ্ঠ উন্নতির আশা করছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল মহল। তবে গত ২ সেপেপ্টম্বর থেকে মাওয়া সেক্টরের লৌহজং চ্যানেল ও টার্নিং পয়েন্ট এলাকায় যে ড্রেজিং শুরু হয়েছে তার প্রাথমিক স্তরের পলি অপসারন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। গতরাত থেকে দ্বিতীয় স্তরের কাটিং শুরু হয়েছে। যা ররিবারের মধ্যে শেষ হলে নৌপথের গভীরতা ১০ফুটে উন্নীত করা সম্ভব হলেও উজানের বালু মিশ্রিত স্রোতের কারনে তা ধরে রাখা দুরুহ হতে পারে বলেও জানিয়েছে দায়িত্বশীল মহল। তবে বিআইডবিøউটিএ এনৌ পথটির নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে। কতৃপক্ষের মতে ১৫অক্টোবরের পরে পলী অপসারন করে দুমাসের মধ্যে চ্যানেলটি স্থিতিশীল পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হতে পারে।
অপরদিকে বিআইডবিøউটিসি’র দায়িত্বশীল মহল আগামী রবিবারের পরে ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি উন্নয়নের আশা করছে পাটুরিয়া ও মাওয়া ফেরি সেক্টরে। পাশাপাশি অন্য সেক্টরগুলোতেও যানবহনের চাপ হ্রাস পাওয়ায় মঙ্গলবারের মধ্যে পরিস্থিতি সহনীয় ও স্বাভাবিক পর্যায়ে উন্নীত করার আশা করছে সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।