Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ল²ীপুরে মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ

| প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ল²ীপুর জেলা সংবাদদাতা : ল²ীপুর সদর উপজেলার দালালবাজার এলাকায় সরকারী ‘ক’ তফসিল ভূক্ত মুক্তিযোদ্ধার নামে ইজারাকৃত, ব্যাক্তি মালিকীয় জায়গা দখল করে চারতলা বাড়ী ঘেষে, এবং রাস্তার জায়গা দখল করে জোর পূর্বক ফ্ল্যাট বাড়ী নির্মানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবসালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে চারতলা বাড়ীটির দেয়াল, মেঝে ও ভিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে একটি পরিবার। যেকোন সময় অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খিতিশ চন্দ্র নাথ গত ৯ জুলাই জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক অভিযোগ এবং গত ২১ আগস্ট ল²ীপুর সিনিয়র সহাকরী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান সরেজমিন পরিদর্শন করে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন এবং সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬৪নং ল²ীপুর মৌজার সাবেক এস এ ৭৩৭ নং খতিয়ান ভুক্ত ১৫২৩নং জমা খারিজী খতিয়ান ভুক্ত এবং ডি পি ২৫২৩ নং খতিয়ান ভুক্ত ৪২৯৯ দাগের ৪ শতাংশ ভূমির ক্রয় সূত্রে মালিক খিতিশ চন্দ্র নাথ গংরা। ওই ভূমির সামনের অংশে দোকানঘর ও একটি চারতলা বাড়ী নির্মাণ করে দীর্ঘদিন থেকে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। ১৯ জুন নন্দনপুর গ্রামের শংকর গোস্বামী উক্ত বাড়ীর প্রাচীর ঘেষে ১ ফুট ৮ইঞ্চি প্রস্থে ও ৬০ফুট দৈর্ঘ্যের ভূমি, সরকারী রাস্তার জায়গা ও সরকারী ‘ক’ তফসিল ভূক্ত মুক্তিযোদ্ধার নামে ইজারাকৃত ভূমি সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জবর দখল করে বহুতল বিশিষ্ট পাকা ইমারত নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেন।
খিতিশ চন্দ্র নাথের বড় ভাই জ্যোতিষ চন্দ্র নাথ বলেন, দীর্ঘ বছর উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে ২টি দোকান ও বাড়ী নির্মান করে বসবাস করে আসছি। বিগত ২/৩ মাস আগে প্রতিপক্ষ শংকর গোস্বামী আমাদের দখলীয় সীমানা লংঘন করে বসত ঘরের নিচের দিকে গভীর বেইজ কাটে। এতে করে আমাদের ওয়ালের ব্যাপক ফাটল ধরে ধসে পড়ে। বাসার ভিম ধসে পড়ে পরিবারের লোকজন মৃত্যু মুখে পড়তে পারে। এ বিষয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানাযায়, বাড়ী নির্মান সংক্রান্ত সকারের বিদ্যমান আইনে নতুন বাড়ী নির্মান করতে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদনের নিয়ম থাকলেও অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই বাড়ী নির্মার শুরু করে।
ফ্ল্যাট নির্মানকারী শংকর গোস্বামীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারি ভূমির অংশের দুই ফুট ওয়াল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তবে খিতিশ চন্দ্র নাথের সীমানা লংঘনের বিষয়টি সত্য নয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ