বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার: ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন ভিসি নিয়োগ নিয়ে বিশ^বিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রক্টরসহ প্রায় ১৪ হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর তারা সদ্য বিদায়ী ভিসি আরেফিন সিদ্দিকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও তিনি তা গ্রহণ করেন নি।
তবে ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী এমন পদত্যাগপত্র বর্তমান ভিসির কাছেই দেয়ার কথা। কিন্তু তা না মেনে আরেফিন পন্থী শিক্ষকরা পদত্যাগপত্র সদ্য বিদায়ী ভিসির কাছে দিয়েছেন। তাই এর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে মনে করছেন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো পদত্যাগপত্র পাননি। এছাড়া পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার দু’দিন পর বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় এটি রহস্যজনক বলেও মন্তব্য করছেন অনেকে।
বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মাস্টার দা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এমন ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এগুলো গুজব।
আরেফিন সিদ্দিক বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রে তারা লেখেন, ‘ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগকে কেন্দ্র করে ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ এর লঙ্ঘন এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রীর মিথ্যাচার ও দ্বৈতাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।’
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক পদত্যাগপত্র পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রক্টরসহ প্রায় সব হলের প্রাধ্যক্ষ আমার কাছে গত ৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগপত্র নিয়ে আসেন। তবে আমি তা গ্রহণ না করে বিশ^বিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে বলেছি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বলেন, ‘ ৭৩’ এর অধ্যাদেশ না মেনে ভিসি নিয়োগ দেয়ায় আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলাম। তবে উপাচার্য তা গ্রহণ না করে আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য চালিয়ে যেতে বলেছেন। তাই আমরা পুনরায় দায়িত্ব পালনে কাজ করছি।’
প্রসঙ্গত, আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ৪ সেপ্টেম্বর বিশ^বিদ্যালয়ের আচার্য ও প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জান কে সাময়িকভাবে ভির্সি পদে নিয়োগ দেন।
এদিকে ঢাবি ভিসি নিয়োগে প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, ‘ভিসি নিয়োগে বিতর্ক থাকলেও আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। প্রেসিডেন্ট তার নিজ ক্ষমতা বলে আইনি প্রক্রিয়ায় সাময়িকভাবে ভিসি নিয়োগ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট এটা করতে পারেন। সংবিধান তাকে এ ক্ষমতা দিয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।