বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সূর্যমুখী তেলের আড়ালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কোকেন পাচারের ঘটনায় চোরাচালান মামলারও অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর গতকাল (বৃহস্পতিবার) এ আদেশ দেন। এ ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদসহ কয়েকজনকে আসামি করে মাদক আইন ও চোরাচালান আইনে দুুটি মামলা হয়। চোরাচালানের মামলায় গত ১৪ মে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে নূর মোহাম্মদকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর গত ৯ আগস্ট তাতে নারাজি জানিয়ে অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন পিপি। এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদালতের এ আদেশ এল।
মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, চোরাচালান মামলাটি অধিকতর তদন্ত করতে র্যাবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। র্যাব-৭ এ কমর্রত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এর আগে মাদক আইনে করা মামলার তদন্ত শেষেও নূর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পরে আদালতের নির্দেশে র্যাব তদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়; সেখানে নূর মোহাম্মদকেও আসামি করা হয়। র্যাবের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক নূর মোহাম্মদের জ্ঞাতসারেই ভোজ্যতেলের মাধ্যমে তরল কোকেন আনা হয়েছিল।
চোরাচালান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। বিদেশী একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা একটি কন্টেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। পরে পরীক্ষা করে এতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর ২৮ জুন বন্দর থানায় নূর মোহাম্মদ ও সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। আদালত মামলায় চোরাচালানের ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।