বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন শুরুতে উত্থান থাকলেও কিছুক্ষণ পর টানা নামতে থাকে সূচক এবং প্রথম ঘন্টা পর আবারও ঘুড়ে দাঁড়ায় বাজার। বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজার কয়েক সপ্তাহ যাবৎ বেশ চাঙা। সূচক বেড়েছে প্রায় ৩০০ পয়েন্ট। এ সময়ে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারদর যেমন বাড়ছে, তেমনই বেড়েছে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার। চাঙা বাজারে বিনিয়োগকারীরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়ছেন। যার কারণে টানা বাড়ছে বাজার। পাশাপাশি সেক্টরভিত্তিক বাজার সংশোধন হচ্ছে। তবে বর্তমান বাজারে দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বিনিয়োগকারীদের। তাই পূর্বেকার কথা চিন্তা করে প্রোপার ওয়েতে বিনিয়োগ করতে হবে।
তারা আরও বলছেন, বাজার চাঙা, লেনদেন ভালো। বাজারে নতুন বিনিয়োগ আসছে। আসছে বিদেশি বিনিয়োগ। সবকিছুই ভালো খবর। কিন্তু বাজারে লাভ হলে অনেকেই টাকা তুলে নেবে এটাই স্বাভাবিক। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের বাজারে ধরে রাখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ভূমিকা নিতে হবে। দুর্বল কোম্পানির দর অস্বাভাবিক বাড়লে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে হবে বিএসইসিকে। কারণ দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়া কোনো ভালো লক্ষণ নয়। এগুলো খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। গুজবে কান না দিয়ে ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে হবে। দেড়িতে হলেও ভালো মুনাফা আসবে এসব কোম্পানিতে।
গতকাল দুপুরে বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬০৮০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৪১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২১৬০ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩১৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৩টির, দর কমেছে ১১৩টির এবং দর অপরিবর্তীত রয়েছে ৫২টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩৫৪ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার টাকা। অথচ এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বুধবার ১২ টার দিকে ব্রড ইনডেক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছিলো ৬০৮৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছিলো ১৩৩৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছিলো ২১৬০ পয়েন্টে। সে সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছিলো ৫৮৪ কোটি ৮২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
এদিকে, দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৮৩৯ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৯০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির, দর কমেছে ৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা। - ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।