Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাছ চাষে স্বাবলম্বী ঈশ্বরদীর তালেব

| প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এসএম রাজা, ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে : মাছ চাষ করে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঈশ্বরদীর সফল মৎস্য চাষি আবু তালেব জোয়াদ্দার। তিনি ঈশ্বরদীর মৎস্য চাষিদের আইডল হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিত হয়েছেন। শুধুমাত্র মাছ চাষ করেই তিনি হয়েছেন কয়েক লাখ টাকার মালিক। একজন ভাল ফুটবলার হিসেবেও তার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। ফুটবল খেলার পাশাপাশি সখের বসে মাছ চাষে ঝুঁকে পড়েন। এই মৎস্য খামারের উপার্জিত অর্থ থেকে তিনি গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখার জন্য আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করে থাকেন।
ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের মরহুম আবুল হোসেনের ছেলে আবু তালেব জোয়াদ্দার পড়াশুনা শেষ করে অন্য কোন পেশায় না গিয়ে ঝুঁকে পড়েন মাছ চাষের দিকে। বাবার জমিতে ২টি মাত্র পুকুর দিয়ে ২০১২ সালে মৎস্য চাষ শুরু করেন তালেব। মৎস্য চাষ করে যখন তার আর্থিক অবস্থা ভালো হতে থাকে তখন তিনি এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে পরিত্যাক্ত ও অনাবাদি জমি খাজনা নিয়ে তার খামারকে প্রসারিত করতে থাকেন। বর্তমানে জোয়াদ্দার মৎস্য খামারে ৪৬ বিঘা জমিতে পুকুরের সংখ্যা রয়েছে ১১টি। তালেবের দেখা দেখি তার এলাকা ও আশপাশের বেকার যুবকেরা পরামর্শ নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করেছে। মৎস্য চাষের পাশাপাশি তালেব গড়ে তুলেছেন পোল্ট্রি খামার, ডেইরি ফার্ম, ছাগল-ভেড়ার খামার, ধান চাষ ও সবজি উৎপাদন খামার। তালেব তার খামারের নাম দিয়েছেন জোয়াদ্দার মৎস্য খামার। তার খামারে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে থাকেন।
সাফল্যের বিষয়ে মৎস্য চাষি তালেব বলেন, অন্যের পুকুরে টিকিটে মাছ ধরতে গিয়ে মাছ চাষে আগ্রহ জাগে। ফুটবল খেলার পাশাপাশি মাছ চাষে মনোনিবেশ করি। আমার নিজের পুকুরে বড় মাছের চাষ করি তাই মাঝে মধ্যে এই পুকুরেও মাছ ধরার জন্য টিকিট বিক্রি করে থাকি। আমি বিশ্বাস করি এদেশের শিক্ষিত বেকার যুবকেরা সততার সাথে শ্রম দিয়ে মাছ চাষ করলে ভালো অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব নাজমুল হুদা বলেন, মুলাডুলির জোয়াদ্দার মৎস্য খামারটি পরিপাটি ভাবে সাজানো। মৎস্য তালেব বেকার যুবকদের মাছ চাষে আগ্রহী করে তুলেছে এটা একটা ভাল দিক। মৎস্য খামারটি প্লান মাফিক পরিচালনা করলে আরও বেশি ভালো করবেন বলে তিনি এ কথা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ