Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুরে বন্যায় সড়ক ভেঙে ভোগান্তি

| প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহর এলাকার মধ্যে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ নতুন বাবুপাড়া-কলেজ রোডটি ভেঙে গেছে। এতে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুর কলেজ রোডের প্রায় ২০ ফুট ভেঙে গেছে। এতে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাবুপাড়ার-কুন্দল এলাকার দুই শতাধিক পরিবার। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজ রোড অর্থাৎ নতুন বাবুপাড়া-কুন্দল সংযোগ সড়কটির মুচিপাড়ার কাছে প্রায় ২০ ফুট ভেঙে গেছে। এ সময় এলাকার বাসিন্দা রাজিবা সুলতানা (৪০) বলেন, ‘আমরা এ সড়ক ব্যবহার করে নতুন বাবুপাড়া, পুলিশ লাইনস, পৌর মার্কেটসহ শহরের যে কোনো গন্তব্যে যাতায়াত করতাম। বন্যায় গত এক সপ্তাহ আগে সড়কটি ভেঙে যায়। কিন্তু পানি নামার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ সড়কটি মেরামতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ নিয়ে বারবার পৌর কাউন্সিলরের কাছে অনুরোধ করেও লাভ হয়নি।’ এছাড়া সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এর পশ্চিম অংশের শিক্ষার্থীরা সৈয়দপুর কলেজে যেতে সমস্যায় পড়ছেন। ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালেও রোগী আনা-নেওয়ায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা দুই কিলোমিটার ঘুরে মহাসড়কের ওপর দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করছেন। এলাকার বাসিন্দা শিল্পপতি নজরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এ পথে কোনো যানবাহন চলছে না। লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে। সড়কটি দ্রæত মেরামতের দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন বলেন, সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকার দুইশ’ পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে। বিষয়টি তুলে ধরে পৌর মেয়র বরাবর গত রোববার একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে সড়ক মেরামতের দাবি জানানো হয়েছে। পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, বন্যায় পৌরসভার সড়ক অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। দ্রæত মেরামতের কাজ শুরু হবে। কলেজ রোডটিও মেরামত করে দেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ