Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাখাইনে সহিংসতায় রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়াতে পারে: জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৪:২৮ পিএম

মায়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রায় ৩,০০,০০০ রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশে এসে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিশ্বসংস্থাটি ইতোমধ্যে শরণার্থীদের জন্য জরুরি খাদ্য সরবরাহের জন্য তহবিল হ্রাসের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।
বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্ত অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের ধারণা, দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া সর্বশেষ সহিংসতায় ১ লাখ ৪৬ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে এসেছে।
মায়ানমারের সামরিক বাহিনী কর্তক রোহিঙ্গাদের হত্যা-নির্যাতনে চরম অস্থিতিশীলতার কারণে পালিয়ে আসা লোকদের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মুখপাত্র দিপায়ান ভট্টাচার্য বলেন, সর্বশেষ রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ৩ লাখ শরণার্থী বাংলাদেশে এসেছে বলে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা অনুমান করছেন।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আগতরা খাদ্যাভাবে মারাত্মক পুষ্টিতে ভুগছে। তারা সম্ভবত এক মাসের বেশি সময় ধরে খাদ্যের স্বাভাবিক প্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন।’
তিনি বলেন, ‘তারা স্পষ্টতই বেশ ক্ষুধার্ত এবং ভীত সন্ত্রস্ত।’
তিনি জানান, হাজার হাজার এই শরণার্থীদের মধ্য অনেক অসুস্থ কিংবা আহত মানুষ রয়েছে। রাখাইনে এর আগের সহিংসতায় সাহায্য সংস্থাগুলোর সম্পদ হাজার হাজার শরণার্থীদের সহায়তায় ব্যয় করা হয়েছে। তাদের অনেকেই আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছে এবং সহায়তা সংস্থাগুলো তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন এবং খাদ্য সরবরাহের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভট্টাচার্য জানান, শরণার্থীরা এখন নৌকাযোগে আসার পাশাপাশি সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকছে।
গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর রোহিঙ্গা স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা অন্তত ২৫টি পুলিশ স্টেশন ও একটি সেনাক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করলে মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এরপর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হেলিকপ্টার গানশিপের ব্যাপক ব্যবহার করেছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। এতে মায়ানমার সরকারের হিসাবে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত শত শত রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে এসেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ