বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় এমপি রানা ও তার ৩ ভাইসহ সকল আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল নয়টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে এমপি রানাকে টাঙ্গাইল কোর্টে হাজির করা হয়।
সকাল এগারোটায় আদালতের বিচারক এজলাসে উঠেন। প্রথমেই তিনি এই চাঞ্চল্যকর মামালার বিচারিক কজ শুরু করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবীদের মামলা পুন তদন্তের আবেদন, আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন থেকে অব্যহতির বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদালত আবেদন দুটি না মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিঁপিঁ মনিরুল ইসলাম খান এমপি রানা ও তার তিন ভাই সহ ১৪ আসামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ধারা ৩০২/১২০/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আসামী পক্ষের আইনজীবীগণ অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৭ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে আদালত চলাকালে ফারুক হত্যা মামলার আসামীদের বিচার দাবিতে আদালতের বাইরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণ ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। দুপুর ১২ টার দিকে এমপি রানাকে টাঙ্গাইল আদালত থেকে কড়া পুলিশ পাহারায় কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুব্রত কুমার বালা আদালতকে জানান, পাইলসের রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ থাকায় আমানুর ভ্রমণ-উপযোগী নন বলে কারাগারের সহকারী সার্জন জানিয়েছেন। তাই তাঁকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। এর আগের তারিখ ১২ জুন জানানো হয়, জ্বর, বমি, পাতলা পায়খানা, কোমর ব্যথা ও হৃদরোগের ব্যথার কারণে আমানুর ভ্রমণ-উপযোগী নন।
গত বছরের ৯ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির প্রথম তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু এর আগের দিন কাশিমপুর কারাগার থেকে তাঁকে বুকে ব্যথা জনিত কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ টাঙ্গাইলে তাঁর কলেজপাড়া এলাকায় বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা-পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে সাংসদ আমানুর রহমান খান ও তাঁর তিন ভাইয়ের এ হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর আমানুর ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান। গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আমানুর ও তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।