Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা

| প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা: কাঁঠালবাড়ি- শিমুলিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে অসংখ্যা ডুবোচরে ফেরি চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। ফলে ঈদ শেষে রাজধানীগামী যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। তবে বিকল্প পথ হিসেবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে নৌপরিহন কর্তৃপক্ষ। আর যাত্রীরা অভিযোগ করেছে, সারা বছর ড্রেজিং করলেও কেন কাটছে না নাব্যতা সংকট। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের কর্মস্থলমুখো যাত্রীরা শুরুতেই চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। গত দুই দিনে ডুবোচরে আটকে ছিল ছোট বড় ৭টি ফেরি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। এতে চরম অন্তোস যাত্রী, পরিবহন ড্রাইভারসহ দক্ষিণাঞ্চলবাসী। তারা অভিযোগ করেছেন, সারাবছর ড্রেজিং কার্যক্রম চললেও কেন নাব্যতা সংকট কাটছে না। তারা দ্রæত নৌরুট সচলের দাবী জানান। বরিশাল থেকে আসা যাত্রী শান্তা ইসলাম জানান, আমরা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে এসেছি। এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ। শুধু ভিআইপিদের জন্য ফেরি সার্বিস চালু রেখেছে। অন্য সাভিৃস বন্ধ । তাই আমরা দুর্ভোগ পড়েছি। এর দ্রæত সমাধান হওয়া দরকার।
বিআইডবিøউটিএ এর কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আ. সালাম জানান, পদ্মায় দ্রæত পানি কমতে থাকায় দেশের ব্যস্ততম কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের নাব্যতা সংকট প্রকট ভয়াবহ রূপ ধারন করেছেএমতাবস্থায় এই নৌরুটের ২০টি ফেরির মধ্যে ছোট ফেরিগুলো ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ রেখেছে। ছোট ফেরি রয়েছে মাত্র ৫টি। এছাড়াও ফেরিগুলোতে ধারন ক্ষমতারও অর্ধেক পরিবহন নিয়ে ঘাট ছাড়ছে। একারনে ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। বিআইডবিøউটিএ’র পক্ষ থেকে বিকল্প পথ দৌলাদিয়া-পাটুরিয়া রুটে পন্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে। দু একদিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ