বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাছিম উল আলম : প্রায় ১শ কোটি টাকা ব্যায়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ২৮টি উপজেলায় সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন’ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফ্তর-এলজিইডি এসব কমপ্লেক্স ভবন ছাড়াও এ অঞ্চলের ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৮৫টি বাসস্থান নির্মাণ করছে। সরকারের দুটি ভিন্ন প্রকল্পের আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বরিশাল বিভাগের ৪২টি উপজেলা মূক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ছাড়াও সব অসচ্ছল ও ভূমীহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মান করা হবে বলে এলজিইডি’র বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিবুর রহমান ইনকিলাব’কে জানিয়েছেন। চলমান প্রকল্পগুলো আগামী ডিসম্বেরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি। এসব কমপ্লেক্সে ৩তলা ভবনের নিচতলায় বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য মার্কেট ছাড়াও দোতলা ও তিন তলাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিস ছাড়াও সম্মেলন কক্ষ থাকছে। পাশাপাশি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কমবেশী ৬শ বর্গফুটের একটি করে একতলা ভবন নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। যাতে আধুনিক রান্নাঘর ও শৌচাগারও নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে ৬টি কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ খাতে ব্যায় হচ্ছে ১৬কোটি ৭৮লাখ ৫৯ হাজার টাকা। পাশাপাশি ৭কোটি ৬২লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যায়ে জেলার ৮০জন অসচ্ছল ও ভূূমীহীন মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাসস্থান নির্মাণ কাজের অগ্রগতিও ৯৭ভাগ। আগামী মাসের মধ্যেই এসব ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন এলজিইডি’র বরিশাল জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন। ভূমি হস্তান্তরের পরে খুব শিঘ্রই জেলার অবশিষ্ট ৪টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজও শুরু হবে বলে জানান তিনি। পটুয়াখালীর ৪টি উপজেলাতেও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৮২ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখাতে ব্যয় হচ্ছে ৯কোটি ৭লাখ টাকা। এছাড়া প্রায় ২কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার ৮জন অসচ্ছল ও ভূমীহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিঘ্রই জেলার অবশিষ্ট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মান কাজ শুরুর বিষয়টি প্রক্রীয়াধীন বলে জানা গেছে। ভোলার ৭টি উপজেলার মধ্যে ৫টিতে মূক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজও ইতোমধ্যে ৭০% শেষ হয়েছে। এখাতে ব্যায় হচ্ছে প্রায় ১৪কোটি ১৯লাখ টাকা। এছাড়া জেলার ২৫জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার বাসস্থান নির্মাণ কাজেও ২কোটি ২২লাখ টাকা ব্যায় হচ্ছে। কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯০ভাগ।
পিরোজপুরের ৭টি উপজেলার সবগুলোতেই ‘উপজেলা মূক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’ নির্মাণ কাজ চলছে। ১৫কোটি ৭৫লাখ টাকা ব্যায়ে এ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৮৩% বলে এলজিইডি’র দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ৪২জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৩কোটি ৮২লাখ টাকা ব্যায়ে বাসস্থান নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বরগুনার ৬টি উপজেলার মধ্যে ৪টি ‘উপজেলা মূক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’ নির্মাণ কাজ চলছে। প্রায় পৌনে ১০কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৯%। এছাড়া ১কোটি ৬৭লাখ ৫৫হাজার টাকা ব্যায়ে জেলাটির ২১জন অসচ্ছল ও ভূমীহীন মূক্তিযোদ্ধার জন্য বাসস্থান নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
ঝালকাঠী জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে ২টিতে উপজেলা মূক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স-এর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৯৮ভাগ শেষ হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে প্রায় ৬কোটি ৩৯লাখ টাকা ব্যায়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়াও জেলার ৯জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য প্রায় ২কোটি ৬৮লাখ টাকা ব্যায়ে বাসস্থান নির্মান কাজের অগ্রগতি প্রায় ৬২%। খুব শিঘ্রই আরো বেশ কিছু অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাসস্থান সহ অবশিষ্ট দুটি উপজেলাতেও কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে। নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মূক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই শেষ করার লক্ষ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক স্থানেই জমি প্রাপ্তি সহ বেশ কিছু জটিলতায় কাজ শুরুর বিষয়টি আটকে আছে। তবে সর্বোচ্চ অগ্রাধীকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এলজিইডি’র দায়িত্বশীল মহল। এছাড়াও আরো অধিক সংখ্যক ভূমিহীন ও অসচ্ছল মূক্তিযোদ্ধার বাসস্থান নির্মাণের বিষয়টিও অগ্রাধীকার ভিত্তিতে শেষ করতে চাচ্ছে সরকার। পুরো বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও এলজিইডি’কে সর্বাধীক অগ্রাধীকার প্রদান করতেও বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসন জমি প্রদান করলে ২০১৮-এর ডিসেম্বরের মধ্যেই ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’ নির্মাণ কাজ শেষ করতে চায় এলজিইডি। এছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণের বিষয়টিও জমি প্রাপ্তি ও সরকারী তহবিলের ওপর নির্ভর করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।