পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশে হঠাৎ করে আবারও জঙ্গি ইস্যু সামনে চলে এসেছে। আমার কেন জানি মনে হয়, দেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সরকার একবার বলছে আমরা জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছি। আবার জঙ্গি ইস্যুকে টিকিয়েও রাখা হচ্ছে। জঙ্গি হিসেবে যাদের ধরা হচ্ছে, তাদের জবাবদিহি না করে হত্যা করে ফেলা হচ্ছে। যা কোনও সমাধান নয়। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে হবে আন্তর্জাতিকভাবে। সরকারের উচিত এই ইস্যুতে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাওয়া। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের ওপর যখন পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ করেছিল, তখন ভারত আমাদের আশ্রয় দেওয়ায় বেঁচে গেছি। আর আমরা এখন রোহিঙ্গাদের দিকে গুলি তাক করে আছি, যেন তারা আসতে না পারে।
শেখ হাসিনার অধীনে কোন দিনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে প্রধানমন্ত্রীকে তার পদ থেকে সরে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতাশালী ব্যক্তির পক্ষে নির্বাচনের সময় চুপ করে বসে থাকা বা কোনও কিছু নিয়ন্ত্রণ না করা- এটা হবে অবিশ্বাস্য। তাই আমরা বলছি নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রীকে তার পদ থেকে সরে যেতে হবে। না হলে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের কাছে আহ্বান জানাব সংসদ ভেঙে দিয়ে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জানুয়ারির মধ্যে সংসদ তো ভেঙে দিতেই হবে। নয়তো তিনশ তিনশ ছয়শ সংসদ সদস্য হয়ে যাবে। আর তা হবে একটি হাস্যকর ব্যাপার। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, সহায়ক সরকার বা তত্ত¡াবধায়ক সরকার একই কথা। নামটি বড় কথা নয়। আমরা চাই নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার। বিএনপি সংঘাতে জড়াতে চায় না উল্লেখ করে বিএনপি’র এই নেতা বলেন, আমরা সংঘাত এড়িয়ে যেতে চাই। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আমাদের চাওয়া সেটাই। তাই বলছি একটি নির্দলীয় সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ জন্য আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন, যা গণতন্ত্রের জন্য জরুরি। গণতন্ত্র ও জনগণের কল্যাণের জন্য সরকারকে দাম্ভিকতা পরিহার করে সংলাপে বসতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।