Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পপুলার ডায়াগনস্টিক

রেজিস্ট্রেশনের নামে রোগীপ্রতি ৫০ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসাবে কিছু পরীক্ষা করাতে ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিকে যান মিলন হোসেন। পরীক্ষা একই হলেও প্রতিবারের চেয়ে এবারে তার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয় পপুলার কর্তৃপক্ষ। তাড়াহুড়োর কারণে তিনি তখন বিল প্রদান করেন। পরে বাসায় গিয়ে দেখেন রেজিস্ট্রেশন চার্জ নামে অতিরিক্ত ৫০ টাকা বিলে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ করেন আরও অনেকে।
রেজিস্ট্রেশন চার্জ দেখিয়ে নিজস্ব সিস্টেম আপ-ডেট করতে রোগীপ্রতি ৫০ টাকা নিচ্ছে রাজধানীর পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টার লি.। অন্যান্য বিলের সঙ্গে রোগীর বিল পেপারে কেটে নেয়া হচ্ছে এ টাকা। অনেক সাধারণ রোগী প্রতিষ্ঠানটির এ চালাকি খেয়াল না করেই বিল পরিশোধ করছেন। এ ভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি। জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ডা. ফজুল হাকিম বলেন, এটা এক ধরনের দুর্নীতি। এমনিতেই বেসরকারি এসব ডায়গনস্টিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করে থাকে। তারপর উন্নয়নের নামে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া অন্যায়। তিনি এসব অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং বিএমএ’র প্রতি আহবান জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধানমন্ডির পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টারের একজন কর্মকর্তা বলেন, রোগী বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের সিসটেম আপ-ডেট কাজ শুরু করেছে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু টাকা ব্যয় হচ্ছে। আর এ টাকার পুরোটাই রোগীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বেশিরভাগ রোগীই এসব বিষয়ে নজর দেন না। যে সুযোগে কর্তৃপক্ষ রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, রোগীর সুবিধার্থে এই অর্থ নেয়া হচ্ছে। এর বিনিময়ে প্রত্যেক রোগীকে একটি আইডি নম্বর সম্বলিত কার্ড প্রদান করা হবে। যেখানে তার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। পরবর্তীতে আবার আসলে তাকে আর নাম, ঠিকানা বলতে হবে না। শুধু কার্ড দেখালেই চলবে। দীর্ঘদিন তথ্য সংরক্ষণের ফি হিসেবেই এটা নেয়া হয়েছে। এ্যাপোলো ও অন্যান্য হাসপাতালের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ওখানেতো আরও বেশি টাকা নেয়া হয়। এখানেতো মাত্র ৫০ টাকা নেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ