Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাগুরায় একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র

পারনান্দুয়ালীর হাউজিং সোসাইটির কাঁশবন

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান : | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাগুরার মানুষ ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব পার্বনে অবকাশ বিনোদনে কিংবা কোন ছুটিরদিনে বিকেলের অবসরে ছুটে আসছেন শহরের পার্শবর্তী পারনান্দুয়ালী হাউজিং সোসাইটির কাঁশবনে। শহর জীবনের ব্যস্ততার মাঝে একটু স্বস্তির জন্য মাগুরায় কোন বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা বেছে নিয়েছে নৈসর্গিক প্রাকৃতিক এ বনকে। মাগুরা শহরে কোন বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় গত কয়েক বছর ধরে একটু স্বস্থির আশায় যুবক- যুবতী শিশু কিশোররা বিকেলে ছোটে এ কাঁশবনে। তিন দিকে নদী আর বিশাল কাঁশবন মাঝে মাঝে চওড়া রাস্তা শিশু কিশোরদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর খুবই উপযোগী। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, তেমনি মনের প্রশান্তির জন্য প্রয়োজন বিনোদনের। মাগুরায় কোন বিনোদনের ব্যবস্তা নেই। তাই এই কাঁশ বনের নৈসর্গিক আবহে এবং কাঁশফুলের আমন্ত্রনে শহরের বন্ধি জীবন থেকে একটু স্বস্তি পেতে শরতের পড়ন্ত বিকেলে শত শত ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসছে এ কাঁশবনে। নতুন ও নানান রং বেরংয়ের পোশাকে প্রতিদিন মানুষের উপস্থিতিতে এখানে মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে কাঁশবন ভ্রমন পিপাসু মানুষের কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠেছে। এলাকা ধারণ করে নতুন রূপ। কুশল বিনিময়সহ এ খানে চলে প্রান খুলে আড্ডা আর নানান ধরনের ফটো সেশন। সেই সাথে রয়েছে নৌকা ভ্রমনের সুবিধা। ছোট ছোট নৌকা রয়েছে শারি শারি সাজান। ইচ্ছে হলেই ভাড়া করে ঘুরে বেড়ান যায় তিন দিকে নদী পরিবেষ্টিত এ হাউজিং প্রকল্পের এলাকায়। মানুষের এ মিলন মেলা কে কেন্দ্র করে ঝালমুড়ি, ফুসকাসহ নানান ধরনের খাবারের দোকানের পসরা বসিয়ে দোকানীরা অর্থ উপার্জনে লেগে গেছে। মানুষের দেহের জন্য খাদ্যের পাশাপাশি বিনোদনের প্রয়োজন থাকলেও মাগুরায় কোন বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। অনুন্নত এলাকা হিসেবে মাগুরায় সরকারি বা ব্যবসায়িকভাবে কেউ কোন বিনোদনের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন মনে করেনি। আর এ কারনে এলাকার কিশোর যুবকরা অসুস্থ বিনোদনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সে অবস্থার মধ্যে এই এমনি এমনিতেই গড়ে ওঠা বিনোদন কেন্দ্রটি কিছুটা হলেও সুস্থ বিনোদনের সুযোগ দিচ্ছে। পুজা পার্বনসহ বিভিন্ন ছুটিতে মানুষের মন চায় বদ্ধ ঘর থেকে একটু মুক্ত বাতাশে ঘুরে বেড়াতে। আর এ জন্যে প্রতিদিন বিকেলে রিকশা অটো রিকশায় চেপে এমন কি পায়ে হেটে ভীড় জমায় এ কাঁশবনে। মাগুরায় কোন পার্ক না থাকায় এ স্থানকেই বিনোদনের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে দেহ-মনের স্বস্তির জন্য। এ কাঁশবনে ভ্রমনে এসে অনেক্ইে তাদের খশির কথা জানান। এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে জনৈক ব্যবসায়ী শহরতলীর আঠারখাদা এলাকায় থিমপার্ক নামে একটি পার্ক তৈরী করেছিল। পার্কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মাগুরায় আর কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় এ কাঁশবনকেই বিনোদনের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। মানুষের প্রয়োজনে এটির রক্ষনাবেক্ষন জরুরি বলে মনে করেছেন এলাকাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ