রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বরাবরের মত এবারো জমে ছিল কুরবানির মাংশের বাজার। ঈদের দিন সন্ধ্যায় রাজশাহীর শিরইল বাস টার্মিনালের কাছে বসে এ মাংশের বাজার। দরিদ্র মানুষ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরে দল বদ্ধ হয়ে মাংস সংগ্রহ করে। কপাল ভাল থাকলে সংগ্রহ কম হয় না। একেকজন আট থেকে পনের কেজি মাংস পায়। এত মাংস তাদের সংরক্ষনের সুবিধা নেই। রান্না করা সম্ভব নয়। তাই নিজেদের জন্য দু’তিন কেজি রেখে বাকিটা বিক্রি করে চাল তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ কেনে। এটা দিয়ে তারা ভাল মন্দ খেয়ে নিজেদের মধ্যে ঈদের খুশী ভাগাভাগি করে। বেশ কবছর ধরেই এমনটি চলে আসছে। এসব মাংস কেনার জন্য ক্ষনিকের ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকে। পলেথিন বিছিয়ে দাড়িপাল্লা নিয়ে বসে যায়। ওরা কেনে প্রতিকেজি আড়াইশো টাকার মধ্যে। এরপর এসব মাংস বিক্রি করে পঞ্চাশ থেকে একশো টাকা লাভে ছোট ছোট খাবার হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছে। আবার অনেক নি¤œ মধ্যবিত্ত মানুষ আছেন যারা কুরবানি করতে পারেন না তারাও কমদামে এসব মাংস কিনে পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আবার অনেকে আছেন শখের বসে কেনেন। এদের একজন তপন মিয়ার সাথে আলাপকালে বলেন এ মাংশের স্বাদই আলাদা। বিভিন্ন ধরনের গরুর মাংশের মিশেল থাকে। এই মিশেলি মাংশের স্বাদ বাজারের মাংশের সাথে মিলবেনা। তিনি প্রতি বছর চার পাঁচ কেজি মাংস কিনে ফ্রিজে রেখে খান। তপন মিয়ার কথাকে সমর্থন জানালেন আরো কজন। শফিক নামে কয়েকজন মাংস ক্রেতা ও বিক্রেতা জানালেন তারমত বেশ ক’জন কয়েক ঘন্টায় এ ব্যবসা করেন। সব মিলিয়ে কয়েক মন মাংস বেচাকেনা হয়। আর এজন্য বিভিন্ন খাবার হোটেল আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে রাখে। এ বাজারে দিন দিন মাংশের চাহিদা বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।