পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবের আমেজে সারাদেশে গত শনিবার উদযাপিত হয়েছে। ত্যাগের মহিমা এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সাধ্যমতো পশু কোরবানি দিয়ে এবং তা গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ঈদের দিন বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ ও গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের সুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল আজহা। সারাবিশ্বের মুসলমানরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও করুণা লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিমের (আ.) পুত্রকে কোরবানির প্রতীকী ত্যাগের ঐতিহ্য অনুসরণে ১০ জিলহজ পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। প্রতিবারের মতো এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। আর রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও বিচারপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ এখানে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষ হয় বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে শনিবার সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সাজানো হয় মনোরম সাজে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।
ঈদের নামাজের পরপরই দেশজুড়ে শুরু হয় পশু কোরবানি। রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে গরু-ছাগল জবাই করা হয়। পরে গোশত বিতরণ করা হয় দরিদ্রদের মধ্যে। চলে আত্মীয়দের গোশত মাঝে বিতরণ। রাজধানীর বহু মানুষ ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ায় রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়ে। বড়দের সঙ্গে নতুন আর বাহারি পোশাক পরে আনন্দে মেতে ওঠে শিশুরা। তবে সউদী আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঢাকা, বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, পটুয়াখালীসহ কয়েকটি জেলার দেড় শতাধিক গ্রামের বাসিন্দা শুক্রবার ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বার আউলিয়ার পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ত্যাগের মহিমায় ভাস্মর পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। ঈদের জামাত শেষে এখানকার মুসলমানরা মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেন। ঈদের জামাতে শরিক হয়ে লাখো মুসলমান মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে জুলুম নির্যাতনের শিকার মুসলানদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন। মোনাজাতে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মার সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল আযহার প্রথম জামাত জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্টিত হয়। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাতসহ নগরীর লালদিঘী জামে সমজিদ, বাকলিয়া স্টেডিয়াম, আরেফিন নগর জামে মসজিদ এবং নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ১৬৬ মসজিদ ও ময়দানে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়।
জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ ময়দানের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন খতিব আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। এতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, সাবেক মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদ, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সরকারী কর্মকর্তা, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শরিক হন। নামাজ ও খুৎবা শেষে দেশ-জতির সমৃদ্ধি এবং আহত সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
যশোর ব্যুরো জানায়, যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে যশোরে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। যশোরে ঈদের নামাজ আদায়ের পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঘরে ঘরে গরু ও ছাগল কোরবানির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রায় দিনভর চলে কোরবানি ও গরীব ও অসহায় লোকজন ও আত্মীয় স্বজনের মাঝে বিতরণ। যশোরে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮ টায়। এবারই প্রথম পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাপনায় গোটা ঈদগাহ ময়দান ছাউনী দিয়ে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। বৃষ্টি কাদায় ময়দান কর্দমাক্ত হওয়ায় গত কয়েকবছর ঈদের জামাত ঈদগাহ ময়দানে হয়নি।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, ধর্মীয় ভাবগার্ম্ভীয্য পরিবেশ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে রাজশাহীতে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা। মেঘলা আবহাওয়া চোখ রাঙ্গালেও ঈদের নামাজ শেষ হয়েছে বৃষ্টিহীন ভাবেই। ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় হযরত শাহ মখদুম (রূ) ঈদগাহ ময়দানে। এরপর সাহেব বাজার বড় রাস্তায় বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টিতে মহানগর ঈদগ্হাসহ অনেক ঈদগাহ জামাত করার অনুপোযোগি হয়ে যাওয়ায় আশেপাশের মসজিদে মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মানুষ কোরবানীর পশু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দিনভর আকাশে মেঘের আনাগোনা ও গর্জন থাকলেও মানুষ নির্বিঘেœ কোরবানী শেষ করেন। রাজশাহীর বাগমারা, মোহনপুর, তানোরের বানভাসীরা ছিলেন দূর্ভোগের মধ্যে। ঈদগাহ ময়দান পানির নীচে থাকায় অনেকে পাশ্বের গ্রামে উচুস্থানে গিয়ে ঈদের জামাতে শরীক হন। এসব এলাকার বানভাসী মানুষের কাছে ঈদ এসেছে নিরানন্দ হয়ে। বানের পানি চোখের পানিতে একাকার হয়ে গেছে। প্রত্যেক জামাতে দেশ ও জাতীর কল্যান কামনা বানভাসী মানুষের দূর্ভোগ লাঘব ও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের রক্ষার জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষ রহমত কামনা করা হয়।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, যথাযথ ধর্মীয় মর্জাদার সাথে বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে পবিত্র ঈদ উল আজহা পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র ঈদের নামাজ আদায়ের পরে মুমিন মুসলমানগন পশু কোরবানির মাধ্যমে একটি ওয়াজিব আদায় করেন। দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে। সারা দেশে থেকে লক্ষাধীক মুসুল্লী এ দরবারে সমবেত হয়ে ঈদ নামাজ আদায় ও পশু কোরবানী করেন। বরিশাল বিভাগীয় সদরে হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সিটি মেয়র আহসান হাবীব কামাল সহ জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিগন সহ সর্ব¯তরের মুসল্লীগন এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এছাড়া নগরীর প্রায় প্রতিটি মসজিদে এবারের ঈদ উল আজহার জামাতে বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী অংশ নেন। নগরীর জামে এবাদুল্লাহ মসজিদ, জামে কসাই মসজিদ, বায়তুল মোকাররাম মসজিদ ও পুলিশ লাইন্স মসজিদে দুটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশালের চরমোনাই দরবার শরিফ, পিরোজপুরের ছারছিনা দরবার শরিফ ও ঝালকাঠীর নেসারাবাদের হজরত মাওলানা কায়েদ ছাহেব হুজুরের দরবার শরিফ ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের হজরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা (রঃ)-এর দরবার শরিফেও বড় ঈদ জামাতে বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী নামাজ আদায় করেন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, নির্যাতিত মজলুম মিয়ানমার মুসলিম রোহিঙ্গাদের হেফাজতে মহান আল্লাহ্’র দরবারে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে খুলনার ঈদগাহ ও মসজিদে মসজিদে। গত ২ সেপ্টেস্বর খুলনায় ঈদ-উল-আযহার নামাজে প্রতিটি ঈদগাহ ও মসজিদে মুসল্লিদের ঢল ছিল।
গত শনিবার সকাল ৮টায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। খুলনার প্রধান জামাতে ইমামতি করেন জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি ও টাউন জামে মসজিদের পেশ ইমাম সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনার পাশাপাশি মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ, জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান, নগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. শফিকুল আলম মনাসহ বিভিন্ন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী-শিল্পপতি ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনা কালেক্টরেট জামে মসজিদে, সকাল সোয়া ৭টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর বসুপাড়া ইসলামাবাদ কমিউনিটি সেন্টার ঈদগাহ, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঈদগাহ মাঠ, খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা, বায়তুন নুর জামে মসজিদ, রূপসা বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা বায়তুল্লাহ জামে মসজিদ, নিরালা আবাসিক এলাকা ঈদগাহ, খানজাহান নগর খালাসী মাদ্রাসা ঈদগাহ, দৌলতপুর ঈদগাহ এবং খালিশপুর ঈদগাহ ময়দানসহ নগরীর বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে এবং জেলার ৯ উপজেলায় ঈদের নামাজ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরে কোলাকুলি করে কুশল বিনিময় করেন।
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, ময়মনসিংহে পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামায়াত নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকাল ৮টায় এ জামায়াতে ইমামতি করেন আঞ্জুমান ঈদগাহ মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় জেলা প্রশাসক মো: খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, সাধারন সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম’সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় মুসল্লীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিনাজপুর অফিস জানায়, দ্বিতীয়বারের মত দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত ঈদ-উল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সঠিক সময় সকাল সাড়ে আট টায় অনুষ্ঠিত নামাজে হাইকোট বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর সদর আসনের এমপি এম ইকবালুর রহিম জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল হকসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে।
৫২০ ফুট দীর্ঘ ও ৫৬ ফুট উচ্চতার মেহেরাবের পাদদেশে খোলা আকাশে নীচে জামাত সুষ্ঠভাবে সম্পন্নের জন্য এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রশাসন প্রস্তুতিগ্রহণ করে। মাঠের চারিদিকে বসানো হয় পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার। সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারী ছিল লক্ষনীয়। জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মওলানা শামসুল হক কাসেমি নামাজে ইমামতি করেন। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মুনাজাত করা হয়। কোরবানী ঈদের জামাত হওয়ায় এবার জেলার ১৩টি উপজেলা ও ৯টি পৌরসভাসহ বিভিন্ন পাড়ায়-মহল্লায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা জানান, ধর্মীয়ভাব গাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পাবনায় পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। বৃষ্টি জনিত কারণে ঈদগাহ ময়দান ভেজা থাকায় বিভিন্ন জামে মসজিদে কয়েক দফায় ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেন মুসল্লীরা। পাবনা আরিফপুর সদও গোরস্তান ঈদগাহ মসজিদ, পাবনা আলিয়া মাদরাসা মসজিদ, চাঁপা বিবি মসজিদ, এডওয়ার্ড কলেজ মসজিদ, দিলালপুর মসজিদ, হযরত ওমর (র) মসজিদ, কাচারী জামে মসজিদ, শালগাড়িয়া মসজিদ, আটুয়া মসজিদসহ জেলা শহর ও উপজেলা সমূহে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যান ও সমৃদ্ধি কামনা এবং রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার আর্মিও বর্বও হামলা বন্ধ করে সে দেশের সরকারকে সুমতি দেওয়ার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনে কাছে প্রার্থণা করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পবিত্র ঈদ-উল আযহার নামায শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলায় ২৩০টি ঈদগাহ মাঠে সকাল ৭টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ঈদ-উল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ঈদ গাহ মাঠ গুলোতে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। উপজেলার সর্ববৃহৎ মাঠ ঘগোয়া ঈদগাহ মাঠে নামায অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৯টায়। এ নামাযে ইমামতি করেন ইমামগঞ্জ ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী আলহাজ্ব মোজাম্মিল হক। সুন্দরগঞ্জ পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঠ গুলোতে গুনাহ্ মাপের আশায় ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র শান্তি কামনায় বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গফরগাঁও উপজেলায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। উপজেলার প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈমামবাড়ি ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায়। এ ছাড়া রোস্তম আলী গোলন্দাজ হাই স্কুল মাঠ, রেলষ্টেশন মাঠ, পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘীরপাড় দারুছ-ছুন্নাৎ নেছারিয়া আলিম মাদরাসাসহ বিভিন্ন মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের নামাজের পর কোরবানী দেওয়া ধুম পড়ে যায়। বিকেল হতে বিভিন্ন দর্শীনিয় স্থানে পর্যটন কেন্দ্রের মত ভীর পরিলক্ষিত হয় ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।