Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চামড়া পাচার প্রতিরোধে বেনাপোলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

| প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : ভারতে চামড়া পাচার প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যরা বেনাপোলের বিভিন্নœ সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে বিজিবি সদস্যদের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হযেছে। বন্দর এলাকাসহ স্থল জল ও রেল পথে কঠোর নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবির পাশাপাশি ভারত সীমান্তেও সতর্কতায় জারি করেছে তারা। চলতি মাসের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে সীমান্ত এলাকায় সর্বচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে: কর্নেল আরিফুল হক জানান- সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি পোস্টে লোকবল বৃদ্ধি করা হযেছে। রাতে টহল ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হযেছে। যাতে কেউ অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তর থেকে ভারতে চামড়া পাচার করতে না পাওে সে জন্য ঝুকিপূর্ণ সীমান্ত গুলো চিনহিত করে টহল ব্যবস্থ্ াআরো জোরদার করা হযেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে বিজিবি জানায়। বেনাপোলের পুটখালি, গোগা, দৌলতপুর, অগ্রভুলোট, গাতিপাড়া, ঘিবা, সাদিপুর, বড় আচড়া, কাশিপুর, ও রঘুনাথপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপওা ব্যবস্থা বাড়ানো হযেছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের ওপরও নজরদারি বৃদ্ধি করা হযেছে। সতর্কতার সাথে যাত্রীদের জিঞাসাবাদ শেষে পাসপোর্টে সীল দেয়া হচ্ছে। ভারতের বনঁগা, হাওড়া ও কলিকাতা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে ও রেল স্টেশন এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেদেশের প্রশাসনের সদস্যরা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সার্কিট ক্যামেরায় নজরদারী করছেন তারা।
বেনাপোল-পেট্টাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনেও নজরদারী বাড়ানো হয়েছে বলে জানান চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি ওমর শরীফ। রাতে সীমান্তে বসবাসরত লোকজনদের রাতে চলাচলের ওপর বিধি নিষেধ অরোপ করা হয়েছে। খুচরা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অবশ্য নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কিনে মজুদ করে রাখছেন। তারা স্থানীয় বাজারে চামড়া না তুলে নিজস্ব কায়দায় তা সংরক্ষণ করে করছেন। এই চামড়া বাংলাদেশে রাখা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কারণ পাশের দেশ ভারতে চামড়ার দাম অনেক বেশি। ফলে চোরাকারবারিরা চামড়া পাচারের চেষ্টা করবেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের চাহিদার মোট চামড়ার মধ্যে কুরবানি ঈদে ৪০ শতাংশ সংগ্রহ করা হয়। বাকি ৬০ শতাংশ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ হয় বছরজুড়ে। চামড়া ব্যবসায়ীদের মতে, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের পশুর চামড়ার গুণগত মান উন্নত। প্রতিবেশী দেশের পশুর চামড়া তুলনামূলক নি¤œমানের হওয়ায় এদেশি চামড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভারতে। চোরাকারবারিরা প্রতিবেশী দেশে চামড়া পাচার করে ওই অর্থ দিয়ে ভারত থেকে অন্যান্য মালামাল কিনে আনার চেষ্টায় থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ