বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নরসিংদীতে লাশের সারি ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। ঈদের আগে ১০ ঘটনায় ৪টি হত্যাকান্ডের পর এবার ঈদুল আযহার ছুটির ৩ দিনে নরসিংদীর ৩ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার (৪৫)। ঈদের দিন শনিবার গাজীপুর পুলিশ নার্গিসের লাশ ড্রামভর্তি অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছে। দ্বিতীয় হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী শহরের বিরামপুর এলাকায়। একটি বিয়ে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে হৃদয় নামে এক কিশোরকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারই বন্ধুরা। তৃতীয় হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে মনোহরদীর দশদোনা গ্রামে। মনোহরদী থানা পুলিশ রহিমা বেগম নামে ৬০ বছর বয়স্কা এক মহিলার লাশ ধইনচা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, নরসিংদী জেলা শহরের পূর্বব্রাহ্মন্দী মহল্লার মৃত আব্দুর রহিম মোল্লার কন্যা স্কুল শিক্ষিকা নার্গিসের বিয়ে হয় আশির দশকের শেষ দিকে তৎকালে নরসিংদীতে কর্মরত এনএসআই’র এক কনস্টেবল আনসার আলীর সাথে। বিয়ের পর জানা জানি হয় যে, আনসার আলীর আগের সংসারে স্ত্রী ও ২ মেয়ে রয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হবার পর তাদের মধ্যে অনেকটা সাংসারিক অশান্তি দেখা দেয়। পরবর্তীতে নার্গিস বেগম আগের সংসারের স্ত্রীকে মেনে নিয়েই সংসার করতে থাকে। গত বুধবার স্কুল ছুটি শেষে সে ঢাকার বাসায় চলে যায়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার তেজকুনী পাড়া থেকে গাজিপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এরপর ঈদের দিন শনিবার দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোগড়া পেয়ারা বাগানের কাছে কাওরান বাজার আড়তে গেইটের সামনে থেকে ডামভর্তি অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। পরে ঘটনা ক্রমে তার বড় ছেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মায়ের লাশ সনাক্ত করে।
মাধবদীর হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয় ঈদের আগের দিন রাতে। একই এলাকার বিরামপুর গামে মকবুল মিয়ার পুত্র হৃদয় মিয়া বাড়ীর পাশে একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে গিয়ে ছিল। সেখান থেকে তার বন্ধুরা তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। পরদিন মাধবদী থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
মনোহরদীর হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয় ঈদের পর দিন। দশদোনা গ্রামের মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগমের লাশ গ্রামের ব্রহ্মপূত্র নদের পূর্বপাড়ে একটি ধইনচা ক্ষেতের ভিতর পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। মনোহরদী থানা পুলিশের এসআই রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে তার আত্মীয়-স্বজন রহিমা বেগমের লাশ সনাক্ত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।