বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ‘মিয়ানমার সরকার এবং বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের দ্বারা একের পর এক সংঘটিত রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞে বিশ্বসম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তায় আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। ওআইসি, আরবলীগ ও জাতিসংঘের মতো সংস্থাগুলো ধারাবাহিক এ নৃশংসতার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় বর্মী সরকার পুনরায় মুসলমানদের উপর নতুন উদ্যমে যে নৃশংস বর্বোরচিত নির্যাতন-নিগ্রহ শুরু করেছে তা বসনিয়ায় সংঘটিত শতাব্দীর ঘৃণ্য নৃশংসতাকেও হার মানাচ্ছে! মুসলমান হিসেবে, প্রতিবেশি রাষ্ট্রের নাগারিক হিসেবে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
গত শুক্রবার বাদ-জুমা ঝালকাঠী নেছারাবাদ দরবারে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাও. মুহাম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর একথা বলেন। নেছারাবাদী হুজুর বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার সরকার সেদেশের হাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যে ভরপুর আরাকান রাজ্যের নাম রাখাইনে পরিবর্তন পূর্বক মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করার যে ভয়ঙ্কর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তা কোনো অবস্থায় মেনে নেয়া যায় না। এ অবস্থায় হাজার- হাজার সহায়সম্বলহারা আশ্রয়হীন নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ শুধুমাত্র জীবন নিয়ে বিপদসঙ্কুল পাহাড়ি জঙ্গল এবং উত্তাল সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের সীমানায় এসে হাজির হয়েছে। সীমান্তে এখন কেবলই তাদের আর্তনাদ! বাংলাদেশ একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যায় পূর্বে থেকেই নাজেহাল। তদুপরি নতুন করে আসা এই বিপুল জনগোষ্ঠী আমাদের উদ্বেগের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু আশ্রিত মানুষদের পুনরায় সাগর কিংবা হিংস্র প্রাণীতে ভরপুর জঙ্গলে ঠেলে দেয়া হবে আরো অমানবিক, আরো নিষ্ঠুরতার প্রকাশ। আমরা এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহŸান জানাবো- কেবলমাত্র মানবতার খাতিরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিন এবং মিয়ানমারের সাথে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে কূটনৈতিকভাবে সর্বাত্মক অবরোধ প্রচেষ্টা গ্রহণ করুন।’
নেছারাবাদী হুজুর বলেন- ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করেছেন। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যেগে বর্বর অসভ্য মগ-দুর্বৃত্তদের মূলোৎপাটন হবে এবং অসহায় রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আরাকানে তাদের বাড়িঘরে ফিরে যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।