Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আড়িয়াল খাঁয় বিলীন বসতবাড়ি ও ফসলি জমি

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আড়িয়াল খাঁ নদীর তীব্র ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার অন্তত ১৫ টি গ্রামের বিস্তির্ণ ফসলী জমি আর ঘরবাড়ী। ভাঙ্গনের হুমকীর মুখে রয়েছে স্কুল, মসজিদসহ বহু স্থাপনা। স্থানীয়দের দাবী গত কয়েক বছরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলী জমি ও অসংখ্য বাড়ীঘর। এদিকে আগামী মৌসুমে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ।
স্থানীয়রা জানায়, এবছর প্রায় দুই মাস ধরে ভাঙ্গছে আড়িয়াল খাঁ। এরই মধ্যে এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুরু হওয়া ভাঙ্গনে নদীগর্ভে চলে গেছে ফসলী জমি, কয়েকশ বসত ভিটাসহ হাজারো গাছপালা। আর ২০/২৫ গজ এলাকা ভাঙ্গলেই ভেঙ্গে যাবে বহু বছরের পুরাতন চরবন্দর খোলা ফাজিল মাদ্রাসা, চরবন্দরখোলা নাদেরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ ভবন সহ কবরস্থান।
সদরপুরের চরমানাইড় ইউনিয়নের চরবন্দখোলা গ্রামের নাহার বেগম জানান, কয়েকদিন আগে তার বসতভিটা নদীভাঙ্গণে বিলীন হয়ে গেছে। এই নিয়ে পাচবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হলেন তিনি। এখন নতুন করে বাড়ীঘর নির্মান করার চিস্তা গ্রাস করছে তাকে।
শুধু নাহার বেগম নয় এমন গল্প নদী পাড়ের অনেকেরই। নদী ভাঙ্গনের শিকার করে প্রতিনিয়ত সহায় সম্পদ হারাচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ। তাই নদীভাঙ্গন আতংকে দিন কাটাচ্ছে আড়িয়াল খাঁ তীরের মানুষেরা। সম্পদ হারানোর আতংকে দিশেহারা তীরের মানুষেরা। দুইমাস ধরে শুরু হওয়া ভাঙ্গন থামছেনা কিছুতেই। তারা আরো জানান, পানি কমতে শুরু করলে বেড়ে যাবে ভাঙ্গনের মাত্রা।
কয়েকজন প্রবীন বাক্তি জানান, গত কয়েক বছরের ভাঙ্গণে নদীগর্ভে চলে গেছে কয়েকটি গ্রাম। কয়েক হাজার বসতভিটা, হাজার হাজার গাছপালা আর হাজারো একর ফসলী জমি। এসব এলাকার মানুষের গ্রাণের দাবী অবিলম্বে নদী শাসন করে সহায় সম্পদ রক্ষা করার।
চরমানাইড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আয়ুবআলী জানান, গিয়াসউদ্দি ফকির কান্দি, হাজারী হাজীর কান্দি, চরমানাইড় ও আদেলউদ্দিন মোল্লার কান্দি সম্পুর্ণ নদীগর্ভে চলে গেছে। আরো কয়েকটি গ্রামের আংধিক নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়া পাশের চর নাসিরপুর ও দিয়ারা নারকেলবাড়ীয়া ইউনিয়নেও ব্যাপকভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে।
ফরিদপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শশাংক শেখর কীর্ত্তনীয়া জানান, বালির বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষার চেস্টা চলছে।
অপরদিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা) আসনের সাবেক সাংসদ কাজী জাফরুল্লাহ মঙ্গলবার বুধবার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান ১৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মান করা হবে। তিনি জানান, এরই মধ্যে ওই প্রকল্পের ডিপিপি প্রনয়ন করা হয়েছে। আগমি শুকনো মৌসুমে এ কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
পরিকল্পিতভাবে তীর সংরক্ষণ পুর্ক্ষক নদী ভাঙ্গন রোধ করে স্কুল, মসজিদসহ মূল্যবান সম্পদ রক্ষার দাবী এলাকাবাসীর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ