Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলেজ ছাত্রী রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১:১৭ পিএম | আপডেট : ১:২৪ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে ধর্ষণ ও পৈচাশিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। সোমবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব ও দুপুরে শহরের শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, সচেতন নাগরিক সমাজ, কালের কন্ঠ শুভ সংঘ, প্রথম আলো বন্ধুসভাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নারী ও পুরুষ অংশ নেয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ ধর্ষণের সাথে জড়িত গ্রেপ্তারকৃত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকারী পাঁচ আসামী বাসের চালক হাবি, কন্ট্রাক্টর গেন্দু, গাড়ির হেলপার জাহাঙ্গীর, আকরাম ও শামীমের ফাঁসির দাবি করেছেন। বক্তারা বলেন, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণে এসব ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয়না বলেই আজ সমাজে একের পর এক এধরনের ঘটনা ঘটছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট শুক্রবার রাতে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের আইনের ছাত্রী রূপা প্রামাণিককে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পচিশ মাইল এলাকায় ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তার ভাই হাফিজুর প্রামাণিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সুত্র ধরে মধুপুর থানায় এসে নিহতের ছবি দেখে তার বোনকে সনাক্ত করে। এসময় হাফিজুর জানায়, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ি গ্রামে। তাদের পিতার নাম জিলহাস প্রামাণিক।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গত সোমবার ছোয়া পরিবহনের বাসের চালক হাবিবুর রহমান (৩০), সুপারভাইজার ফজল আলী (৫৮), সহকারি শামীম (২৭), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) গ্রেফতার করে মধুপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে।

এসময় তারা দোষ স্বীকার করে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়। ভিকটিম রূপাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে মধুপুরের বনাঞ্চলে আসামীরা লাশ ফেলে দেওয়ার পর সে সময় রূপার পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় পুলিশ রূপার ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে গত (২৬ আগস্ট) শনিবার অজ্ঞাতনামা লাশ হিসেবে দাফন করে।

পরে তার ভাই গত সোমবার লাশ সনাক্ত করার পর আসামীরা গ্রেফতার হয়। পরে (৩১ আগস্ট) বৃহস্পতিবার তার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলন করে হস্তান্তর করা হয়। পরে ওইদিন বিকেলে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থান থেকে লাশ উত্তোলনের পর হাফিজুর প্রমানিকের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরে ওইদিন রাতেই সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার আছানবাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে জানাযা নামাজ শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ