Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পীরগাছায় তীব্র লোডশেডিং ও অনিয়মের বিপাকে গ্রাহক

| প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


পীরগাছা (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুরের পীরগাছায় বিদ্যুৎ বিভাগের অব্যবস্থাপনার কারণে গত সাত দিন ধড়ে প্রায় বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে পীরগাছা উপজেলা। বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং এর সাথে কর্মকর্তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে গ্রাহকরা চরম বিপাকে পড়েছে। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিসে নতুন ডিজিএম আব্দুল জলিল যোগদানের পর থেকে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। সঞ্চালন লাইনে সমস্যা দেখা দিলে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। লাইন মেরামতের নামে গ্রাহকদের অর্থ ব্যয়েরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৭ দিন ধরে পীরগাছা উপজেলায় ১০/১২ ঘন্টা স্থান ভেদে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যে চরম মন্দা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে অসন্তোষের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তীব্র লোডশেডিং,অনিয়ম ও দূণীতির প্রতিবাদে গ্রাহকরা পর পর দুই দিন রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিস ঘেরাও করে। গত দুই মাস ধরে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে গ্রাহকদের নিকট থেকে প্রকাশ্যে মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করে আসছে ডিজিএম ও এজিএম কম।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নতুন বিদ্যুৎ লাইন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণের নামে ১ কিলো মিটার লাইনের জন্য তিন লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন ডিজিএম আব্দুল জলিল ও এজিএম কম শাহিনুর আলম মিয়া। এসব উৎকোচ গ্রহণের ঘটনায় গ্রাহকরা স্থানীয় দালালদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ দায়ের হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট। এদিকে প্রতিটি কাজের বিনিময়ে উৎকোচ না দিলে দুই কর্মকর্তার হাতে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার জন্য গ্রাহক রঞ্জু মিয়া জানান, দুই মাস আগে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার জন্য জামানতসহ অন্যান্য ফি জমা দিয়েছি। এজন্য ওয়ারিং পরিদর্শককে দুই হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে মিটারের টাকা জমা দেয়ার অনুমতি নিয়ে টাকা জমা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি।
রংপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির-১এর জোনাল অফিসের এক পরিচালক নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, এ ডিজিএম যোগদানের পর থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরাও হয়রানীর শিকার হয়েছি। উপজেলার কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাইফুল ইসলাম ইকবাল খান অভিযোগ করে বলেন, ডিজিএম আব্দুল জলিল নিজেকে একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসাবে দাবী করে আসছেন। ডিজিএম বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন খানে অভিযোগ করে কোন লাভ হবে না। তার ইচ্ছা মত পীরগাছা উপজেলায় অবস্থিত বিদ্যুৎ অফিস চলবে বলে জানান।
রংপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির-১ এর জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল জলিলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পত্রিকায় লিখে লাভ কি এ খাতে অনিয়ম হয় তা সবাই জানে। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১এর জিএম নুরুর রহমান জানান, এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ