শিবচর (মাদারীপুর) সংবাদদাতা ঃ শিবচরে ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ ও প্রশাসনের অভিযানে তা পÐ হয়ে গেছে। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত মেয়েটিকে উদ্ধার করে বর, কাজীসহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদÐ প্রদান করেছেন। কাজীর রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবচর পৌর এলাকার গূয়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী শিবরায়ের কান্দি গ্রামের রং মিস্ত্রির মেয়েকে তার বাড়ির লোকজন বেড়ানোর কথা বলে পৌরসভার ১ ও ৩ নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে নিয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহমেদ, সহকারী কমিশনার(ভূমি) শরিফুল ইসলাম কাজী অফিসে অভিযান চালায়। অভিযানকালে কাজী আবুল হোসেন, বর মুদি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, তার মেঝ ভাই জামাল হোসেন ও মেয়ের চাচা শুকুর কাজীকে এক মাস করে কারাদন্ড, মেয়ের ভাই রহিম মিয়া ও ছেলের মামা আবু বকর ১৫ দিন , চাচাতো ভাই টিটু খলিফাকে ১০ দিন, ছেলের চাচা দাদন মুন্সি, দুলাভাই গিয়াস খা, মেয়ের দুলাভাই আরিফ মাদবরকে এক সপ্তাহ করে কারাদÐ প্রদান করেন। ওই স্কুল ছাত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে বাড়িতে বিয়ের কথা বললে না করেছি। আজ বেড়ানোর কথা বলে আমাকে কাজী অফিসে আমার চাচা নিয়ে আসে।

শিবচর গুয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশাসন এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ায় স্কুলের পক্ষ থেকে আমি ধন্যবাদ জানাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, চলতি বছর স্থানীয় সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগ পার্লামেন্টারি পার্টির সাধারন সম্পাদক নূর ই আলম চৌধুরী শিবচরকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষনা করেছেন। কোন অবস্থাতেই শিবচরে বাল্য বিবাহ হতে দেয়া হবে না।