আইয়ুব আলী, চট্টগ্রাম থেকে : প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চট্টগ্রাম নগর ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লাখো মানুষ। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। যাদের গ্রামের বাড়ি দূর-দূরান্তে তাদের অনেকে ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে আরও দুইদিন আগে নগর ছেড়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) অফিস শেষে ট্রেন, বাস স্টেশনে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় ঈদ উদযাপন করতে যাওয়া মানুষদের। এছাড়া দূর-দূরান্তের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নগর ছেড়েছে। ট্রেন, বাস স্টেশনে ছিল ঘরমুখো মানুষের ভিড়।
এদিকে যাত্রা পথে বিড়ম্বনায় এড়াতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগাম ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি গেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ছিল ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড়। একইভাবে নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন দূরপাল্লার বাস ও বিআরটিসির বাস কাউন্টারে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, খুলনা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জায়াগার যাত্রীদের ভিড়। ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, এবার ঈদুল আযহায় অন্তত ১৬ লাখ মানুষ চট্টগ্রাম মহানগর ছেড়েছে। এতে ফাঁকা হয়ে গেছে নগরী। টানা তিনদিনের ঈদের ছুটিতে বাসাবাড়িতে চুরিরসহ অপরাধ কর্মকান্ড রোধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি থানা এলাকায় নিয়মিত টিমের পাশাপাশি অতিরিক্ত টিম নামানো হয়েছে। মোবাইল টিম, ফুট পেট্রল, মোটর সাইকেল পেট্রলের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। অপরদিকে ট্রেন, বাসের বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতে নগরীর লালদীঘির পাড় এবং বহদ্দারহাট থেকে কার মাইক্রো ভাড়া করেও ঘরে ফিরছেন মানুষ। নানা কষ্ট সয়েও মানুষ ঘরে ফিরছেন প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহার বলেন, কোরবানির পর মহল্লায়-মহল্লায় উঠতি মাস্তান, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসী প্রভাব খাটায়। তারা জোরপূর্বক তাদের কাছে চামড়া বিক্রির জন্য বাধ্য করে অথবা চামড়া ছিনিয়ে নেয়। সিএমপি পুলিশ এবার এ অত্যাচারের হাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিশেষ নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীতে র‌্যাব-পুলিশের প্রায় দেড় হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।