Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবৈধ পার্কিং ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

মোঃ আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দত্তসার থেকে নালবাগ পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ দোকানপাট আর অস্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা। বিশেষ করে ট্রাক আর কাভার্ড ভ্যানের পার্কিংয়ের কারণে সরু হয়ে গেছে মহাসড়কের দুই পাশ। উপজেলার দত্তসার দীঘির পাড়, লাটিমি ইউনাইটেড ফিলিং ষ্টেশনের সামনে, ভাজনকরা থ্রী ষ্টার হোটেলের সামনে, জগন্নাথ দীঘির পাড়, নানকরা বিজিবি ক্যাম্পের সামনে, উপজেলা সদরের ট্রেনিং সেন্টার, কালির বাজার, ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে, হাড়ি সর্দার বাজার, আমানগন্ডা, বাবুচি, সৈয়দপুর, লালারপুল, মিয়াবাজার ইন্ট্রাকো ফিলিং ষ্টেশনের সামনেসহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি করে ঘন্টার ঘন্টার পর দাঁড়িয়ে থাকে ট্রাক ও কার্ভাডভ্যান। ফলে এই মহাসড়কক চার লেনে উন্নীত করা হলেও এই চার লেনের শতভাগ সুফল পাচ্ছেন না সড়ক ব্যবহারকারীরা। এছাড়া মহাসড়কের পদুয়া, চিওড়া, আমজাদের বাজার, নানকরা, বাতিসা, লাকসাম রোড, উপজেলা রোড ও মিয়াবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড। এতে করে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। অপরদিকে কুমিল্লা-ফেনী রুটে চলাচলকারী মদিনা, যমুনা, বিজলী ও যাত্রীসেবাসহ যাত্রীবাহী বিভিন্ন লোকাল বাস গুলো মহাসড়কের পদুয়া, চিওড়া, চৌদ্দগ্রাম বাজার ও মিয়াবাজারে এলোপাতাড়ীভাবে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে অহেতুক যানজট। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সড়ক ব্যবহারকারীরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভাজনকরা থ্রী ষ্টার হোটেল, জগন্নাথদীঘির পাড় এলাকা, বাবুচি রাস্তার মাথা, সৈয়দপুর এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ লাইনে কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক পার্কিং করে রাখা হয়েছে। এর ফলে দুই দিক থেকে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। যা যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করছে। এতে মাঝে মাঝেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কের মিডিয়ানগ্যাপ বা ইউটার্ণ’র জন্য রাখা মহাসড়কের প্রসস্ত স্থানে ট্রাক ও কার্ভাডভ্যান পার্কিং করে রাখা হয়। এতে গাড়ি ঘুরাতে গিয়ে অনেক দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন সভায় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানিয়ে ছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হাইওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেম জানান, প্রায় ৫৫ কি:মি: মহাসড়ক একটি মোবাইল টিম দিয়ে তদারকি করা হয়। মহাসড়কে ও মিডিয়ানগ্যাপে পাকিং করা যানবাহনগুলোচোখে পড়লেই সরিয়ে দেয়া হয় অথবা আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়। পুলিশ যতক্ষণ থাকে তৎক্ষণ দাঁড়াতে না পারলেও চলে যাওয়ার পর আবারো একই অবস্থা হয় বলে তিনি জানান। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল ফয়সল বলেন, মহাসড়কের পাশে সওজের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে খাবার হোটেল থাকার কারণেই ট্রাক-কার্ভাডভ্যানের এ পাকিং। আমরা বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছিলাম কিন্তু অভিযান চলাকালিন সময়ে কোন গাড়ি না দাঁড়ালেও চলে আসার পর আবার একই অবস্থা বিরাজ করে। তাই আমার মতে মহাসড়কের পাশে সরকারী জায়গায় নির্মিত অবৈধ হোটেল গুলো উচ্ছেদ করা গেলেই এ সমস্যা থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ