Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে নদীভাঙনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন

| প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : আমাদের বাড়িঘর নদীতে গেছে, গেছে ফসলী জমি, এখন স্ত্রী সন্তান নিয়ে কি করবো কোথায় যাব কিভাবে বেঁচে থাকবো জানিনা ,আমরা এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের এ দুর্দশা দেখার বা সাহায্য করার মতো কেউ এগিয়ে আসেনি। অত্যন্ত ক্ষোভ ও দু:খের সাথে কখাগুলো সাংবাদিকদের কাছে বলেন নদীভাঙ্গনের শিকার সদর উপজেলার উত্তর পাচখোলা গ্রামের দিনমজুর মজিবর সরদার, হাফেজ হাওলাদার, আবুল কাশেম মুন্সি, মনির মুন্সি, কাসেম পোদ্দার বোরহান খলিফা বাদল নপ্তি রব বেপারী সিদ্দিকমালসহ আরো অনেকেই।গত কয়েকদিনের অব্যাহতভাবে আড়িয়াল খা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে মাদারীপুর সদর উপজেলার বেশ কিছু স্থানে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের উত্তর পাচখোলা ও পাশ^বর্তী জাজিরা, কালিকাপুর ইউনিয়নের চরনাচনা গ্রামের বেশ কিছু এলাকা নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর পাচখোলা গ্রামের দিনমজুর মজিবর সরদার, হাফেজ হাওলাদার, আবুল কাশেম মুন্সি, মনির মুন্সি, কাসেম পোদ্দার বোরহান খলিফা বাদল নপ্তি রব বেপারী , বাড়ি ঘরসহ ২০/২৫টি বাড়িঘর জমি জমা বড়বড় গাছপালা গত ২/৩দিনের মধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে। ওই গ্রামের আবদুল মান্নানখানের ইটেরভাটা এ কে বি ব্রীকস এর ৫০% ইতিমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে।নদীভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে আরো ৫টি ইটেরভাটা।
উত্তর পাচখোলা গ্রামের মো: ফরিদ হোসেন মুন্সি বলেন, এই গ্রামে আমার ফসলী জমি ১বিঘা মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকিরমুখে রয়েছে আমার আরো ৮/১০ বিঘা জমি। শুধু তাই নয় এই গ্রামে আরো ৪০/৫০ বিঘা ফসলী জমি নদীবক্ষে চলে গেছে। শতাধিক বাড়িঘর নদী ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে । এই এলাকায় নদীভাঙ্গনে অন্তত শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এখানে কোন আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় গৃহহীনরা বিভিন্ন আত্বীয় স্বজনের বাসাবাড়ি ও ইটেরভাটায় বিশ্রামঘরে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।এসব এলাকায় বন্যার্ত ও নদীভাঙ্গনের শিকার মানুষের মধ্যে কোন ত্রান সামগ্রী বিতরন না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে।নদীভাঙ্গনরোধে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমান বাড়িঘর স্থাপনা ক্রমশ নদীবক্ষে বিলীন হতে চলেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ