Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঈদকে সামনে রেখে নোয়াখালীতে রাজনৈতিক অঙ্গন সরব

| প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, নোয়াখালী ব্যুরো ঃ আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নোয়াখালীর ৬টি আসনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আগমন শুরু হয়েছে। যার সুবাদে রাজনৈতিক অঙ্গন সরব হচ্ছে। আগামী বছরের প্রথমার্ধে যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জন্য এটাই সূবর্ণ সূযোগ। ঈদের আমেজ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ এলাকায় আসতে শুরু করেছে। নোয়াখালীতে এমূহুর্তে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র তৎপরতা লক্ষনীয়। এরমধ্যে প্রচার প্রচারনায় আওয়ামীলীগের জয় জয়কার। প্রতিটি আসনে আওয়ামীলীগ এমপি ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সাংগঠনিক কর্মকান্ড বৃদ্বি করে চলেচে। অপরদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও অনেকটা নীরবে সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ।
আওয়ামীলীগ ঃ নোয়াখালী (চাটখিল-সোনাইমুড়ী একাংশ) আসনে আওয়ামীলীগ এমপি এইচ,এম ইব্রাহিম এলাকায় কাজ করছে। পাশাপাশি প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী জাহাঙ্গীর আলম কর্মী বাহিনী নিয়ে পূরো নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছে । দান অনুদান, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, মসজিদ মাদ্রাসা নির্মানসহ বিভিন্ন কাজে তৎপর রয়েছে। এক কথায় জাহাঙ্গীর আলম তার নির্বাচনী আসনে নিজের অবস্থান পাকাপোক্তা করার লক্ষে কাজ করছে। সেনবাগ আসনের এমপি শিল্পপতি মোরশেদ আলমের বিপরীতে সক্রিয় রয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারন সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন এফসিএ ও শিল্পপতি আতাউর রহমান ভূইঁয়া (মানিক), বেগমগঞ্জ আসনে এমপি শিল্পপতি মামুনুর রশিদ কিরন এলাকায় তৎপর। এ আসনে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল (অবঃ) মঈন ইউ আহমদের ছোটভাই শিল্পপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদও সক্রিয় রয়েছে। সদর-সূবর্ণচর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী মাসের অধিকাংশ সময় বিভিন্ন এলাকায় চষে বেড়াচ্ছে। এলাকার প্রতিটি জনপদে তার বিচরণ লক্ষনীয়। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি রোধে তিনি অনেকটা সফল। কোম্পানীগঞ্জ আসনে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিমাসে অন্তত একবার এলাকা সফর করেন । এছাড়া আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা তার পক্ষে তৎপর রয়েছে । হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউস তার বিশাল উপকূলীয় ও চরাঞ্চল সম্পন্ন নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় রয়েছে।
বিএনপি ঃ নোয়াখালীতে বিএনপি’র বিপূল জনসমর্থন রয়েছে। কিন্তু কতিপয় আসনে সমস্যা বিদ্যমান থাকায় তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। নোয়াখালীর (চাটখিল -সোনাইমুড়ী একাংশ) আসনে বিএনপি’র একমাত্র প্রার্থী ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ব্যস্ততার মাঝেও এলাকা সফর করেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে তার সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রয়েছে। (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী একাংশ) আসনে বিএনপি’র সাবেক এমপি জয়নুল আবদীন ফারুকের বিপরীতে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মো. মফিজুর রহমান। সেনবাগ উপজেলা বিএনপি সভাপতি হিসেবে জয়নুল আবদীন ফারুকের কন্যা তামান্না ফারুককে মনোনীত করায় তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে । অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা। অপরদিকে কাজী মো. মফিজুর রহমান এলাকাবাসীর সুখে দুঃখে দীর্ঘদিন থেকে তৎপর রয়েছেন। চলতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে তিনি প্রায় এককোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করেন । ধার্মিক এবং সৎ ব্যক্তিত্ব হিসেবে এলাকায় তার সূ-পরিচিতি রয়েছে । সে সুবাদে সেনবাগ আসনে কাজী মফিজুর রহমান একটি শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। বেগমগঞ্জ আসনে সাবেক এমপি ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু ও তার সহধর্মিনী মাঝে মধ্যে এলাকা সফর করেন । এর পাশাপাশি আসনটিতে আরো অন্তত তিনজন মনোনয়ন প্রত্যাশী । নোয়াখালীর ভিআইপি আসন হিসেবে খ্যাত আসনটিতে আগামী নির্বাচনে নতুন মুখ দেখা গেলে অবাক হবার কিছু থাকবেনা। নোয়াখালী (সদর-সূবর্ণচর) আসনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বিভিন্ন সময় এলাকায় সাংগঠনিক সফর ও দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন । তিনি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। (কোম্পানীগঞ্জ -কবিরহাট) আসনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ মাঝে মধ্যে এলাকা সফর করেন এসময় তিনি দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নেন । হাতিয়া আসনে বিএনপি’র শনির দশা এখনো কাটেনি। যোগ্য নেতৃত্ব এবং প্রার্থী না থাকায় নির্বাচনী ফলাফল শূন্য। অপরদিকে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী সাবেক এমপি প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের প্রতি আস্থাশীল। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সাবেক স্বতন্ত্র এমপি প্রকৌশলী ফজলুল আজিমকে মনোনয়ন দেয়ার সম্ভাবনা বেশী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ