পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে চাপে রাখতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) লেলিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, শুধু দুদক, এনবিআর দিয়ে চাপেই রাখা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে দিয়ে প্রধান বিচারপতিকে ধমক দেয়া হচ্ছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘বিচার বিভাগকে আক্রমণ করে আওয়ামী দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতি সিনহাকে ধমক দিতেই তার সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। গওহর রিজভীকে আমরা ভালোভাবে চিনিও না, তার বাড়ি ভারতের উত্তর প্রদেশে। তিনি ভালো করে বাংলা বলতে ও লিখতে পারেন না। তাকে প্রধান বিচারপতিকে ধমক দেয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যাননি।’ তিনি বলেন, আদালতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মৌন যুদ্ধ চলছে। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণে জনগণের মনের কথা বলায় তাদের গা-জ্বালা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের দলের প্রতিটি নেতারা তার সমালোচনা করছেন। শুধু তাই নয় তারা দুদক, এনবিআরকে তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেই একটা দুর্যোগ। এদের প্রতিহত করতে না পারলে দেশে শান্তি আসবে না। গণবিরোধী শক্তি যখন কোনো রাষ্ট্র দখল করে রাখে, সেই দেশে একটির পর একটি দুর্যোগ আসতেই থাকবে। একটি দুর্যোগ মোকাবিলার পরে আরেকটি চলে আসবে। প্রধান বিচারপতিকে জনতার আদালতে বিচার করা হবে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের জনগণ, পুলিশ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ তারা একটি বিশেষ আদালত করে প্রধান বিচারপতির বিচার করতে পারবে। প্রকৃত জনগণ তো তাদের বহু আগেই তালাক দিয়েছে। জনগণের আদালতে বিচার হবে তাদের, যারা বিডিয়ার বিদ্রোহ থেকে শুরু করে অসংখ্য গুম-খুন করে বাংলাদেশকে রক্তাক্ত করেছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চরিত্র এমনি, তারা গত ৬ দিনে বিরোধী দলের ২ জন নেতাকে গুম করে হত্যা করেছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, শুধু এই সরকার নয়। রোহিঙ্গারা যখন মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে সমুদ্র পার হয়ে বাংলাদেশে আসছে, সীমান্তে তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। তাদের কী বাঁচার অধিকার নেই? বিদেশি সংস্থাগুলোরও কোনো ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রোহিঙ্গাদের একটাই অপরাধ, তারা মুসলিম। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে রোহিঙ্গারা নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তখন তিনি তাদেরকে থাকতে দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন, ওষুধ দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সরকার মুসমিলবিরোধী হওয়ায় রোহিঙ্গাদেরকে ঢুকতে দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ সময় রিজভী আহমেদ বলেন, একদিকে সাগর, অন্যদিকে শয়তান (মিয়ানমারের সেনাবাহিনী)। নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমরা কোথায় যাবেন?
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আপনার দলে কোনও জনগণ নেই। আছে ছাত্রলীগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও যুবলীগ। এছাড়া সাধারণ জনগণ আপনাদের দলে নেই। আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, জনগণ আপনাদেরকে তেজ্য করেছে। তারা আপনাদের বিরুদ্ধে একটি কাঠগড়া নির্মাণ করেছেন। যা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দেখতে পাচ্ছেন না। সেই কাঠগড়া হচ্ছে জনগণের হৃদয়ে। সেখানে তাদেরই বিচার হবে, যারা পিলখানা হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে দেশে সন্ত্রাসের রক্তাক্তগৃহ রচনা করেছেন। প্রধান বিচারপতির সে আদালতে বিচার হবে না।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদা মনি শহীদ উল্লার সভাপতিত্বে এবং এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, জিনাপের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান প্রমুখ।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।