Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দুর্নীতিবাজ হজ এজেন্সিগুলোর সনদ বাতিলের সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হজযাত্রী পরিবহন ও ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ট্রাভেল এজেন্সি গুলোকে চিহ্নিত করে তাদের লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা আদায়ের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া আগামী হজ মৌসুমে বিমানের টিকিট বুকিং দেওয়ার সময় এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে টিকেটের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের পরই টিকেট দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান, রওশন আরা মান্নান ও বেগম সাবিহা নাহার। কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, কিছু সংখ্যক এজেন্সির অব্যবস্থাপনার কারণে এবার হজযাত্রীদের দুর্ভোগ হয়েছে। তারপরও বিমান যেভাবে পরিস্থিতি সামলেছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কমিটি বলেছে, যেসব এজেন্সি গাফিলতি, অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ জনের হজে যাওয়ার কথা থাকলেও ভিসা, টিকেট ও অন্যান্য সমস্যার কারণে ৩৯৭ জনের যাত্রা আটকে যায়। এজন্য হজ এজেন্সিগুলোকে দায়ী করে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন একদিন আগেই বলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত আমাদের হজ এজেন্সি ধরে আনতে র‌্যাব ইউজ করতে হয়েছে। তাদের ধরে নিয়ে এসে টাকা আদায়ের জন্য। যেসব হজ এজেন্সি এই জটিলতার জন্য দায়ী, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকে বিমানের লিজে উড়োজাহাজ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছিল উপ-কমিটি। এর ভিত্তিতে কমিটি অনিয়মের জন্য কারা দায়ী তা চিহ্নিত করা এবং ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে চিহ্নিত না করে বেশ কিছু কাগজপত্র সম্বলিত একটি প্রতিবেদন কমিটিকে দিয়েছে। কিন্তু কমিটি তা গ্রহণ করেনি। এ বিষয়ে সভাপতি ফারুক খান বলেন, মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদন দিয়েছিল, কিন্তু তা অসম্পূর্ণ। অনিয়মের সঙ্গে কারা জড়িত তা স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করে আবার প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা ১৩টি উড়োজোহাজের মধ্যে সাতটি লিজে আনা। এগুলোর মধ্যে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজ দুটির কারণে বিমানের ক্ষতির মুখে পড়া নিয়ে স¤প্রতি একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেয় বিমান। এর একটি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ২০১৪ সালের মার্চে এবং অন্যটি একই বছরের মে মাসে। ওই দুটি উড়োজাহাজের যে কোনো একটি কোন না কোনো সময় বিকল হয়ে বসে থাকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছর ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। গত ডিসেম্বরে নষ্ট হয়ে যায় ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও।পরে ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সে কারণে লিজ নেওয়া প্রতিষ্ঠান ও মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান উভয়কেই অর্থ দিতে হচ্ছে বিমানকে। গত মাসে সংসদীয় কমিটির সদস্য কামরুল আশরাফ খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়ে মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে আবার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হজ

৯ জুলাই, ২০২২
৮ জুলাই, ২০২২
৭ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ