Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু

লোকসানের আশঙ্কা খামারিদের

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বৈধ পথে ভারত থেকে গরু আসা অব্যাহত আছে। এতে করে স্থানীয় খামারিদের লোকসানের আশংকা রয়েছে। শার্শা উপজেলায় এ বছর ৫৬ হাজার পশু মোটাতাজা করণ করা হচ্ছে। এর বিপরীতে উপজেলায় কোরবানী ঈদে পশুর চাহিদা রয়েছে ৫৫ হাজার পশুর। যা চাহিদার তুলনায় বেশী। তারপরও ভারতীয় গরু ব্যাপকভাবে আসা শুরু হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে দেশি খামারিরা। তারা এ বছর ব্যবসায় লোকসানের আশংকা করছেন। শার্শার উপজেলার ৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভারতীয় সীমান্ত। এ সীমান্তের বেশিরভাগ স্থান জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। তবে যেসব স্থানে বেড়া দেয়া নেই, সেই সব পথে অনায়াসে গরু হেটে বাংলাদেশে চলে আসছে। আর যে পথে কাঁটাতারের বেড়া সেখানে নেয়া হচ্ছে ভিন্ন কৌশল। গরু-ছাগল মাঠে চরানোর নাম করে গেট দিয়েই পার করে দিচ্ছে ভারতীয়রা। এদিকে বৈধ পথে গরু, ছাগল ও ভেড়া আনার জন্য শার্শার কয়েকটি খাটালের অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়। গত তিন বছর যাবত ভারতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএসএফের কঠোর হস্তক্ষেপে পুটখালী, অগ্রভুলট, দৌলতপুর ও গোগা এই চারটি খাটাল দিয়ে সীমিত সংখ্যক গরু আসতো। বর্তমানে এ চিত্র পাল্টে গেছে। এখন প্রতিদিনই এ পথে হাজার হাজার গরু আসা শুরু হয়েছে। যা দিন দিন বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
যশোরের নাভারণ পশু শুল্ক করিডোর সূত্রে জানা যায়, গত ১ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহে শার্শার বিভিন্ন করিডোর দিয়ে বৈধ প্রক্রিয়ায় এক হাজার ৬৭০টি ভারতীয় গরু ও ৩২০টি ছাগল এসেছে। এ অফিসে দায়িত্বরত কাষ্টমস্ এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুমা মনি জানান, শার্শা সীমান্তের চারটি পশুহাট পুটখালী, অগ্রভুলট, দৌলতপুর ও গোগা দিয়ে যে পশু আসে নাভারণ করিডোরে তার ভ্যাট আদায় করা হয়। হিসাব করে দেখা গেছে, বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ২শ’ থেকে ২৫০টি ভারতীয় পশু সীমান্ত পার হয়ে এ দেশে আসছে। ঈদ সামনে রেখে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। এদিকে, কোরবানি ঈদের আগে পশু আমদানি বেড়ে গেলে বা ভারত থেকে পশু আসা বৃদ্ধি পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশি খামারিরা। তারা যে আশা নিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করেছিলেন সেভাবে পশুর দাম না পাওয়ার আশংকা করছেন। এ কারণে তারা শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু আসা প্রতিরোধে বিজিবির কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
এদিকে ২১ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আরিফুল হক জানান, চলতি আগস্ট মাসে ৪টি গরু কড়িডোরের মাধ্যমে ৮৩২০ টি গবাদি পশু আমদানি হয়েছে। এ থেকে সরকারের আয় হয়েছে ৩৯ লাখ টাকা। শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জয়দেব কুমার সিংহ জানান সীমান্ত পথে প্রতিদিন ২শ’ থেকে ৩শ’ পশু আসে, তবে সেটা স্বাভাবিক। তবে দৈনিক হাজার হাজার পশু এলে দেশি পশুর খামারিরা লোকসানে পড়বে। এটা অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে। এ অফিসের হিসাব মতে, কোরবানি উপলক্ষে শার্শা উপজেলায় ৫৬ হাজার পশু মোটাতাজা করণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গরু ২২ হাজার, ছাগল ৩৩ হাজার ও ভেড়া রয়েছে ১ হাজার। আর উপজেলায় কোরবানীতে ৫৫ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এ উপজেলায় বাইরে থেকে কোন পশু আমদানী করা লাগবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোরবানি

৯ জুলাই, ২০২২
৮ জুলাই, ২০২২
৩০ জুলাই, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ