রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঈদকে সামনে রেখে যশোরের অভয়নগরের মাদক বিক্রেতারা সক্রিয় হয়ে উঠছে। পুলিশী অভিযানে বন্ধ থাকা মাদক পয়েন্টগুলি অবার খুলে দেয়া হচ্ছে। আত্মগোপনে থাকা চিহ্নিত ও পুলিশের তালিকা ভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা ফিরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন আগেরমত তৎপর না হলে মাদক বিকিকিনি আগের মত ভয়াবহভাবে বৃদ্ধিপেতে পারে বলে সচেতন মহল থেকে আশংকা করা হচ্ছে।
জানা যায়, যশোরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে সম্প্রতি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রস্তত করে পুরস্কারের মাধ্যমে গ্রেফতার করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে অনেক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে কয়েকজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আত্মগোপন করেছে। কিন্ত তাতের মাদক ব্যবসা সাময়িক বন্ধ থাকলেও সামনে ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে নতুন কৌশলে মাদক পয়েন্ট খুলে ব্যবসা শুরু করেছে। পুলিশের তালিকাভুক্ত না এমন সব নতুন লোক নিয়োগ দিয়ে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যশোরের গুরুত্বপূর্ন মাদকের পয়েন্ট অভয়নগর। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় এখান থেকে মাদক খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এর সাথে জড়িত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী অভয়নগরের বুইকরা গ্রামের লিপি বেগম, নওয়াপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম কারিগর, গুয়াখোলা গ্রামের কামরুল ইসলাম, নওয়াপাড়া বউ বাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী। এর মধ্যে লিপি বেগম সম্প্রতি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। বাকিরা আত্মগোপনে থেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থান পরিবর্তন করে এবং মোটরসাইকেলে ফেরি করে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাজা বিক্রি করে চলেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের লেজুরভিত্তিক থাকা কিছু যুবক এদেরকে মাসিক চুক্তির মাধ্যমে সেল্টার দিয়ে মাদক বিক্রি করার সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সকল যুবকদের মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে গভীর সখ্যতা ও মাদক পয়েন্টের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য মাঝে মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে চক্কর দিতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রবিন অধিকারী ব্যাচাসহ বেশ কয়েকজন জন প্রতিনিধি মাদক বিক্রেতাদের প্রতিরোধে ভুমিকা রাখতে দেখা গেছে। এই সকল জনপ্রতিনিধিরা কয়েকটি এলাকাকে মাদক মুক্ত এলাকা ঘোষনা করেছিলেন। কিন্ত ঈদুল আযাহার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নিয়ে পুলিশ প্রশাশন যখন মহাব্যাস্ত তখন মাদক ব্যবসায়ীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠে মাদক ব্যবসা শুরু করেছ্।ে সচেতন মহলের দাবি উল্লিখিত শীর্ষমাদক ব্যবসায়ীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করা এবং পুলিশী অভিযান অব্যাহত রাখা। এব্যপারে অভয়নগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মনদীপ ঘরাইয়ের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন মাসিক আইন সৃঙ্খলা সভায় পুলিশকে প্রয়োজণীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন মাদক প্রতিরোধে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। মাদকের বিষয়ে কো রকম ছাড় দেয়া হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।