পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আরও ৯ জন চমেক হাসপাতালে
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর নির্মম অভিযানে আহত রোহিঙ্গাদের হাসপাতালে আসা অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও ৯ জনকে। তাদের মধ্যে ২ জন অগ্নিদগ্ধ এবং ৭ জন গুলিবিদ্ধ। এ নিয়ে গত ৪ দিনে আহত ১৬ রোহিঙ্গা যুবককে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। রোববার গভীর রাতে আহত ৯ জনকে কক্সবাজার পুলিশের সহযোগিতায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাদের স্বজনেরা। স্বজনেরা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর অভিযানে আহত অগণিত রোহিঙ্গা মুসলমান সীমান্ত এলাকায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে। যারা বাংলাদেশে আসার সুযোগ পাচ্ছেন শুধুমাত্র তারাই হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন। বাকি আহতরা রক্তাক্ত অবস্থায় সীমান্তবর্তী পাহাড় জঙ্গলে ছটফট করছে।
রোববার গভীর রাতে যে ৯ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয় তারা হলেন- অগ্নিদগ্ধ নুরুল হাকিম (২৬) ও মোঃ পারভেজ (২০), গুলিবিদ্ধ মামুনুর রশিদ (২৭), মোঃ সাকের (২৬), মোঃ সাদেক (২০), জাহেদ (২০), নুরুল আলম (১৫), আবুল কাসেম (২০) ও নুরুল আমিন (২২)। তাদের সাথে আসা স্বজনেরা জানান, বাংলাদেশে প্রবেশের পর তাদের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের পাহারায় তাদের চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েছে।
যাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ দু’জনকে বার্ন ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরের অর্ধেক পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ এবং গুলিবিদ্ধ হতভাগ্য এসব রোহিঙ্গারা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পাওয়ায় রক্তক্ষরণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের বারান্দায় পুলিশ পাহারায় তাদের চিকিৎসা চলছে। এ নিয়ে গত ৪ দিনে আহত ১৬ রোহিঙ্গা যুবককে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। তাদের মধ্যে শনিবার সকালে একজন মারা যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে রাখাইনে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার পর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে ওই রাতের হামলার জের ধরে এ পর্যন্ত কয়েকশ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। সেনা অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাড়িঘর নির্বিচারে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্তের পাহাড়-জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়া এসব রোহিঙ্গাদের অনেকেই রক্তাক্ত আহত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।