পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমনিতেই চামড়ার বাজার ব্যবস্থাপনাও গড়ে ওঠেনি। তার উপর প্রতিবার ভরা মৌসুমে নানা সমস্যা সঙ্কটভর করে। এবারও চামড়া বাজারে বিরাজ করছে দারুণ অস্থিরতা। কোনভাবেই মন্দাভাব কাটছে না। যারা মাঠ থেকে চামড়া সংগ্রহ করে তাদের মন ভালো নেই। শিল্পটির সঙ্গে জড়িত থাকবে কিনা তা নিয়েও ভাবনা বাসা বেধেছে। অথচ চামড়া শিল্পটি বিরাট সম্ভাবনাময়। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে চামড়া শিল্প। এর আগে জড়িতরা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। কোথায় সমস্যা, কেন সমস্যা সঙ্কট, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তা কখনো খতিয়ে দেখা হয় না বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানায়, বাংলাদেশের গরু ও ছাগলের চামড়া খুবই উন্নতমানের। বিশেষ করে বাছাই করা গরু ও ছাগল কোরবানী দেওয়ায় ওই চামড়া খুবই ভালো। বরাবরই চামড়া ও চামড়াজাত শিল্প পণ্যের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে। কোরবানীর পশুর চামড়া থেকেই মুলত দেশের মোট চামড়ার চাহিদা পুরণ হয়ে থাকে। নানা কারণে দিনে দিনে পিছিয়ে পড়ছে সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পটি। এই মন্তব্য করেছেন সচেতন, পর্যবেক্ষক মহল ও চামড়া শিল্পের সাথে জড়িতরা। তারা শিল্পটির দৈন্যদশা কাটাতে সরকারকে জোরদার ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আজকালের মধ্যে চামড়া বাজারের অস্থিরতা কাটানোর পদক্ষেপ নেওয়ারও তাগিদ দিয়েছেন। বিশেষ করে যারা মাঠ থেকে চামড়া সংগ্রহ করা ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের পুঁজি সঙ্কট কাটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে জরুরিভাবে।
চামড়া বাজারের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তুলে কয়েকজন ব্যবসায়ী দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, মূল সমস্যা ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের পুঁজি সঙ্কট ও চামড়া পচন ঠেকাতে যে লবন ব্যবহার করা হয় এবার তার দাম প্রায় দ্বিগুণ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চামড়ার বড় হাট যশোরের রাজারহাটের চামড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন মুকুল জানান, শুধুমাত্র যশোরের ব্যবসায়ীদের ট্যানারী মালিকদের কাছে প্রায় ১০কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। যশোর অঞ্চল থেকে ছোট বড় ও ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা ঢাকায় ট্যানারী মালিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। গতকাল সোমবার পর্যন্ত টাকা পরিশোধের কোন খবর হয়নি। আজ (মঙ্গলবার) ব্যাংকগুলো সিদ্ধান্ত দেবে ট্যানারী মালিকদের কত ঋণ ছাড় করবে। তারা টাকা হাতে পেয়ে কখন কিভাবে পাওনা পরিশোধ করবেন তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সম্পূর্ণ টাকা পাওয়া যাবে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না। তার কথা, লবন সঙ্কট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদেশ থেকে ৫লাখ টন লবন আমদানীর কথা রয়েছে। ঈদের আগে সেই লবন আসার কোন সম্ভাবনা নেই। বলা হচ্ছে ্ঈদের পর আসবে আমদানীকৃত লবণ আসবে। ব্যবসায়ীদের কথা, ‘ততক্ষণে তো চামড়ার বারোটা বেজে যাবে’।
শুধু যশোর মোকামের ব্যবসায়ী নয় ট্যানারী মালিকদের কাছে টাকার জন্য বসে আছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মাঠপর্যায়ের চমড়া ব্যবসায়ীরা। ট্যানারী মালিকদের বক্তব্য, সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তরিত মোট ১৫২টি ট্যানারীর মধ্যে মাত্র ৬৭টি চালু হয়েছে। বাকিগুলো এখনো জায়গাজমির লিজ ডিডের কাগজপত্র বুঝে না পাওয়ায় ট্যানারী মালিকরা কাজকর্ম শুরু করতে পারছেন না। পাচ্ছেন না ব্যাংক ঋণও। যার কারণে ট্যানারী মালিকরা মাঠের ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের বকেয়া পরিশোধের কোন উদ্যোগ নিতে পারছেন না। সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানায়, এসব কারণে এবার কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় নানামুখী সমস্যা হবে এমন ধারণা বদ্ধমূল মাঠপর্যায়ে। আসলে চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের স্বার্থে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া জরুরি ছিল। গতবারও ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক অনেক ট্যানারী মালিকরা মাঠের ব্যবসায়ীদের টাকা পরিশোধ করেনি। যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আসলে চামড়া বাজারের কোন ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবারই একই সমস্যা ও সঙ্কটে পড়তে হয়। কথা দেওয়া হয় এবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে। কয়েকজন ক্ষুদে ব্যবসায়ীর কথা, এবার চামড়া বাজারে সবচেয়ে বেশী অস্থিরতা। এর সুযোগ নেওয়ার জন্য নানা ফন্দিফিকি আঁটছে ভারতীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।