Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ

| প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তোশিবা কর্পোরেশন (প্রধান কার্যালয়: মিনাটো-কু, টোকিও, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাতোশি সুনাকাওয়া, যাকে এখানে ‘তোশিবা’ নামে অভিহিত করা হবে), সুমিটমো কর্পোরেশন (প্রধান কার্যালয়: চুয়ো-কু, টোকিও, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুনিহারু নাকামুরা), এবং আইএইচআই কর্পোরেশন (প্রধান কার্যালয়, কটো-কু, টোকিও, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুগিয়ো মিটসুয়োকা, পরবর্তীতে ‘আইএইচআই’ নামে অভিহিত হবে) -এর ত্রিপক্ষীয় কনসোর্টিয়াম কোল-পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড -এর সাথে একটি ইপিসি চুক্তি সম্পাদন করেছে, যাতে তারা বাংলাদেশে একটি হাই এফিশিয়েন্ট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র (যাকে এখানে ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ হিসেবে উল্লেখ করা হবে) এবং একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করবে। (উল্লেখ্য, উভয় প্রকার নির্মাণ কার্যক্রমকে এখানে একত্রে ‘প্রকল্প’ হিসেবে উল্লেখ করা হবে।)
এই প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মাতারবাড়ি দ্বীপের নির্ধারিত জায়গায় জাপানের কাশিমা বন্দরের মডেল অনুসারে একটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং একটি গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলা হবে। আমদানিকৃত কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে আলোচ্য হাই এফিশিয়েন্ট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র’র উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১২০০ মেগাওয়াট ২ ইউনিটে) যা বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০% -এর বেশি। জাপানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই হাই এফিশিয়েন্ট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বাস্পীয় চাপ ও তাপ উৎপন্ন করে যা জ¦ালানি ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরন নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশগত প্রভাব কমাতে অবদান রাখবে। বাংলাদেশর প্রথম গভীর সমূদ্রবন্দর যা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে নির্মাণ করা হবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) কর্তৃক জাপানের মুদ্রা ইয়েন ক্রেডিটের মাধ্যমে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে।
ধারনা করা হয় ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৩৫,০০০ মেগাওয়াটে দাড়াবে যা বর্তমানে মাত্র ৯,০০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৬৫% চাহিদা মেটানো হয়।
সুমিটমো কর্পোরেশন জাপানি সাব-কন্ট্রাক্টর যেমন: তোশিবা প্লান্ট সিস্টেম্্স এবং সার্ভিসেস কর্পোরেশন এবং পেন্টা-ওশান কন্সট্রাকশন কোম. লিমিটেড -এর সহায়তা নিয়ে সিভিল ওয়ার্ক সম্পাদন, সহায়ক যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং বন্দর নির্মাণসহ ড্রেজিং কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব পালন করবে। স্টিম টার্বাইন এবং জেনারেটর সরবরাহ করা এবং তা চালু করার কাজে তোশিবা দায়িত্ব পালন করবে। বয়লার সরবরাহ ও তা চালু করার কাজে আইএইচআই কর্পোরেশন নিয়োজিত থাকবে। এই প্রকল্পে জাপানি প্রযুক্তি এবং কলাকৌশল ব্যবহার করা হবে এবং তা জাপান সরকারের ‘কোয়ালিটি ইনফ্রেসট্রাকচার পার্টনারশিপ ইনিশিয়েটিভ’ -এর একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে জাপানের অর্থায়ন ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িতব্য এই প্রকল্পটি দেশের শিল্পজাত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে। হাই এফিশিয়েন্ট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল ষ্টীম টার্বাইন, জেনারেটর ও কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রপাতি ও পদ্ধতি সরবরাহে তোশিবা তার বৈশি^ক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের ব্যবসা আরও জোরদার করবে যা নিম্ন কার্বন নিঃস্বরন ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে আবদান রাখবে। ২০১৫ সালে ঢাকায় এই কর্পোরেশনের একটি শাখা চালু করা হয়েছে। শাখাটি বাংলাদেশে তোশিবার বিদ্যুৎ এবং অবকাঠামো ব্যবসা প্রসারে সহায়তা করে যাচ্ছে।
সারা বিশে^ হাই এফিশিয়েন্ট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল বয়লার সরবরাহ সহ আইএইচআই কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ ও পরিবেশ বান্ধব যন্ত্রপাতি সরবরাহের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বৈশি^ক বাজারে যেমন এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশ গুলোতে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন ও কার্যকর সরবরাহ নিশ্চিতে আইএইচআই কর্পোরেশন তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রপাতি ও পদ্ধতি বিশেষত উচ্চমান, সক্ষমতা ও নিম্ন কার্বন নিঃস্বরন সম্পন্ন বয়লার সরবরাহ অব্যহত রাখবে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ