Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উজিরপুরে জমে উঠেছে কুরবানি পশুর হাট

| প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


উজিরপুর (বরিশাল) থেকে সৈয়দ নাজমুল ইসলাম: আনন্দ আর উৎসর্গের বার্তা নিয়ে আবার এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উজিরপুরে ঐতিহ্যবাহী গুঠিয়া পশুরহাট, শিকারপুর হাট, উজিরপুর হাট, ধামুরা হাটসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় শতাধিক কুরবানির পশুরহাট জমে ওঠছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভীড় ততই বাড়ছে। হাটে নির্ধারিত দিন ছাড়াও প্রতি দিনেরাতে পশুরহাটে প্রচুর লোকের আনাগোনা দেখা গেলেও বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক কম। হাট বাজারে ভারতীয় গরু দেখা না গেলেও দেশী প্রজাতীর গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার কোন কমতি না থাকলেও গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশী।
উজিরপুরের বৃহৎ গুঠিয়া পশুরহাট ঘুরে দেখা গেছে দেশীও বিভিন্ন আকারের গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া উঠেছে। উজিরপুরের হাটগুলোতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী গুঠিয়াহাটের প্রবীণ গরু ব্যবসায়ী মোঃ জামাল মোল্লা, মোঃ সাহিন হোসেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম মোল্লা, মোঃ আজিজুল হক, মোঃ জহির হোসেন, মহিবুর তামিদার, নাসির হাং ,আমির ও খায়রুল বিশ^াসসহ অনেকেই জানান, গত বছরের তুলনায় গরুর দাম সামান্য বেশী। কারন আমরা এ অঞ্চলের গরু চাহিদা পূরণের জন্য কুষ্টিয়া, রাজশাহিসহ উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চল থেকে ট্রাকে করে গরু আনতে হয়। একটি ট্রাকে গরু উঠে ১৬ থেকে ১৮ টি। ট্রাক ভাড়াসহ বিবিধ খরচ ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। অপরদিকে গরুর খাবার খরচ, লেবারসহ প্রতিটি গরু প্রতি অতিরিক্ত খরচ হয় ৩-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়াও গরুর লালন পালনের খরচও বেড়েছে। অপরদিকে প্রকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ খরচও বেশী। এ কারনে দামটা একটু বেশী।
গুঠিয়াহাট কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এস.এম মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মুফ্তি মোহাম্মদ ফিরোজ সরদার হাট পরিচালক ইউপি সদস্য মোঃ আঃ রাজ্জাক বলেন, শত বছরের পুরানো বৃহত্তম গুঠিয়া হাটে আশপাশের জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই হাটে গরুসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল আমদানী রপ্তানির জন্য আসত। একসময় বিদেশি সওদাগরের বিচারণ ছিল এই হাটে। বিভিন্ন জায়গায় হাট বাজার বসার কারনে কিছুটা জাঁকজমক কমে গেছে।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আখতারুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন ঈদুল আযাহাকে কেন্দ্র করে বরিশাল জেলার প্রত্যেকটি থানায় স্ব-স্ব পুলিশ ছাড়াও ডিবি, সাদা পোশাকধারি পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য দ্বারা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা।
উজিরপুর থানা ওসি মোঃ গোলাম সরোয়ার জানান, এমপি এ্যাডঃ তালুকদার মোঃ ইউনুস ও এসপি মোঃ আখতারুজ্জামানের নির্দেশক্রমে উজিরপুর থানা ও থানার ৫টি পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ প্রশাসন, গ্রামপুলিশ কুরবানিকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রত্যেকটি হাট বাজারসহ বাসস্টান্ড, মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় সর্বত্বক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ