Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিচার হওয়া উচিত -মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যের কারণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য অবশ্যই আদালত অবমাননা। ‘তিনি (শামসুদ্দিন চৌধুরী) যে ভাষায় কথা বলেছেন, ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ সব কিছুর বাইরে গিয়ে তিনি যে একটা অপরিশীলিত, অমার্জনীয় কথাবার্তা বলেছেন- এগুলো অবশ্যই আদালত অবমাননা। এগুলো আমলে নিয়ে তার বিচার হওয়া উচিৎ। গতকাল (রোববার) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘জনাব শামসুদ্দিন সাহেব এই ধরনেরই কথা বলেন। তার যে বাচনভঙ্গি, তার যে শব্দ চয়ন, তাতে আমার মনে হয় না যে বিচারপতি হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা তার ছিল। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার লেখা কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বিচারপতি শামসুদ্দিন বলেন, “উনি মাত্র ২৫ দিন সময়ের মধ্যে ৪০০ পৃষ্ঠার কথা লিখেছেন, এটা ইমপসিবল, এটা হতে পারে না। এটা তার লেখা রায় মোটেও নয়। তার লেখা রায় পড়লে আপনারা দেখতে পাবেন, অনেক শব্দ আছে যেসব শব্দ তার লেখা আগের কোনো রায়ে নাই। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার, এই রায় তার লেখা নয়। অন্য কেউ লিখে দিয়েছে, সম্ভবত পাকিস্তানি কোনো আইএসআই লিখে দিয়েছে। গত বছর অবসর নেওয়ার সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কোন্দলে জড়িয়ে পড়া বিচারপতি শামসুদ্দিন বিচারপতি সিনহাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘তুমি শুধু প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়বা না, এই দেশ ছাড়তে হবে। তুমি যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব স্বীকার কর না, এ দেশে থাকার কোনো অধিকার তোমার নাই।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, শামসুদ্দিন চৌধুরী সাহেব কোন যোগ্যতায় বিচারপতি পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন তা আমার জানা নাই। তার বিচারপতি হওয়ার যোগ্যতার ব্যাপারটি দেশের জনগণ বিবেচেনা করবেন। আমি শুধু একটি কথা বলতে চাই, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় আপিল বিভাগের সাত বিচারকের সর্বসম্মত রায়। এ বিষয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, বিচার বিভাগের যে কর্তৃত্ব, জুডিশিয়ারির যে আলাদা ক্ষমতা, সেই ক্ষমতার ওপরে তারা প্রশ্ন তোলেন, তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেন।
জাতীয় কবি নজরুলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দলের নেতারাসহ আমরা কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি। আমরা তার কবর জিয়ারত করেছি, দোয়া করেছি তার আত্মার মাগফেরাতের জন্য। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কাছে জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম একটি আদর্শ, আমাদের প্রেরণা। আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ, আমাদের স্বাধীকার আন্দোলন, আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার যে সংগ্রাম সেই সংগ্রামে তিনি আমাদের সব সময় প্রেরণা যুগিয়েছেন। জাতীয় কবির যে অবদান শিল্প-সাহিত্য, দেশপ্রেম, সংগ্রাম- এটা কোনো মতেই তুলনা করা সম্ভব নয়। এসময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে ছিলেন।



 

Show all comments
  • রমজান ২৮ আগস্ট, ২০১৭, ১১:১৩ এএম says : 2
    প্রধান বিচারপতি একা কোন সিদ্ধান্ত নেন নি। সাতজনের বেঞ্চ এ রায় দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা রায় সাধারণ জনগন মেনে নিয়েছে কি না।ষোড়শ সংশোধনী আসলে বিচার বিভাগ কে স্বাধীন করেছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ