Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তানোরে ব্র্যাক কর্মকর্তার দৌরাত্ম্য ঋণগ্রহিতারা অতিষ্ঠ

| প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) থেকে মমিনুল ইসলাম মুন : রাজশাহীর তানোরে এনজিও ব্র্যাকের (প্রগতি প্রকল্প) ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ব্র্যাক কর্মীদের মামলা-হামলার ও মানষিক নির্যাতন সইতে না পেরে ঋণ গ্রহীতা দিনমজুর মোস্তফা এলাকা ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যক্তি এলাকা ছাড়া হওয়ায় পরিবারটি এখন চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। অপরদিকে এ খবর সাধারণের মধ্যে জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। সচেতন মহলের অভিমত, হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও বিদেশে হাজার হাজার কোটি পাচার করেও যখন বিশেষ মহল বহাল তবিওতে রয়েছে, তখন দিনমজুর শ্রমিক ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে এলাকাছাড়া হয়েছে। তাদের প্রশ্ন এখন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো কোথায়, তাদের তো এখন এসব অসহায় পরিবারের পাশে দাড়ানো ও আইনি সহায়তা দেয়া উচিৎ। এছাড়াও বন্যাদুর্গত এলাকায় ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলেও এখানে তা আমলে নেয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৬ সালে তানোর পৌর এলাকার ভাতরন্ড গ্রামের টোলা মন্ডলের পুত্র দিনমজুর মোস্তফা মিশুক কেনার জন্য ব্র্যাক থেকে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে ও এক বছরের মধ্যে ১২ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের কথা বলা হয়। সূত্র জানায়, এই ঋণ গ্রহণে ব্র্যাকের মাঠকর্মীকে বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা দিতে হয়েছে, আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে মোস্তফাকে ঋণের দানের সুপারিশ করেছে। কিšত্ত ৪ কিস্তিতে প্রায় ৪৮ হাজার টাকা পরিশোধের পর পারিবারিক সমস্যার কারণে মোস্তফা বাকি ৮ কিস্তি সময় মতো দিতে না পেরে সময় প্রার্থণা করেন। এদিকে মোস্তফাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ৫ হাজার টাকা করে ২ কিস্তিতে ১০ হাজার টাকা জমা নিয়েছে ও সঞ্চয়ের ৪ হাজার টাকা তাকে না জানিয়ে উত্তোলন করলেও কোনো রশিদ না দিয়ে মাঠকর্মী আতœসাত করেছে। অথচ চলতি বছরের ৪ জুলাই কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মোস্তফার বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা বকেয়া দাবি করে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। এদিকে মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। সচেতন অভিমত এসব কারণে ব্র্যাকের ঋণ নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতারা স্বাবলম্বী না হয়ে আরো ঋণ গ্রস্ত হয়ে পড়ছে, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে বলেও প্রচার রয়েছে।
এব্যাপারে তানোর ব্র্যাক (প্রগতি) কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্র্যাকের ঋণের টাকা আদায় করতে মামলা কেনো প্রয়োজনে তার থেকেও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। চার কিস্তিতে প্রায় ৪৮ হাজার চাকা পরিশোধের পরেও কেনো এক লাখ টাকার মামলা দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা ও অন্যান্য খরচসহ সুদাসলে টাকায় আদায় করতে এক লাখ টাকার মামলা করা হয়েছে। এব্যাপারে ব্র্যাকের মাঠকর্মী টুটুল বলেন, মামলার বিষয়ে তাদের কোনো হাত নাই, আর দু’কিস্তির ১০ হাজার ও সঞ্চলের ৪ হাজার মোট ১৪ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধে জমা দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ